আমার এক বড়ভাই বলল, বাসায় তেলাপোকার উপদ্রব বেড়ে গেছে। আর তদন্ত করে দেখেছি, তেলাপোকার বাসা আলমারির ভিতর। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, গরমের জন্য আলমারিও খুলতে পারছি না, তেলাপোকার বাসাও ভাঙতে পারছি না। বড়ভাইয়ের কথা শুনে আমি কিছুক্ষণ তার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থেকে তার কথার মর্মার্থ বোঝার চেষ্টা করলাম। কিন্তু বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম, গরমের মধ্যে কি আলমারি খোলা নিষেধ? কে জারি করেছে এই নিষেধাজ্ঞা? কবে করল? বড়ভাই বললেন, কেউ করেনি রে পাগলা। আমি নিজে নিজেই জারি করেছি বলতে পারিস। কেন জানিস? কারণ, আলমারি খুললেই কম্বল দেখা যায়। আর যা গরম পড়েছে তাতে কম্বলের দিকে তাকালেই ঘাম ছুটে যায়। এ জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি গরম না কমলে আলমারিই খুলব না। ঠিক আছে না? আমার এক বন্ধু বলল, আমি সবসময় চেষ্টা করি ব্যতিক্রম কিছু পরার জন্য। ব্যতিক্রম পোশাক-আশাক পরতে পারলে হয় কি, সহজে লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। আমি তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে জিজ্ঞেস করলাম, আজকাল ব্যতিক্রম কোনো পোশাক-আশাক কিনেছিস নাকি? বন্ধু হতাশা প্রকাশ করল, নারে, লকডাউনে দেশের বাইরে থেকে পোশাক- আশাকের চালানও সেভাবে আসে না, ব্যতিক্রম কিছু পাওয়াও যায় না। তবে খুঁজছি। আমি বললাম, খুঁজে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না। তার চেয়ে ভালো, বাসায় কানটুপি আছে না? কানটুপিটা পরে বের হয়ে যা। দেখবি সবাই এক নজর হলেও তাকাবে তোর দিকে। আমার কথা শুনে বন্ধু এমনভাবে চোখ গরম করল যে, আমার কপালের ঘামে নতুনমাত্রা যোগ হলো। এরপর আমি যখন বাসার দিকে রওনা হলাম তখন আমার এক প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা। তিনি বললেন, করোনাকালে চিড়িয়াখানা খোলা কিনা আমার ঠিক জানা নেই। আপনি কিছু জানেন নাকি? আমি বললাম, হঠাৎ চিড়িয়াখানার খোঁজ নিচ্ছেন যে। ঘুরতে যাবেন নাকি? প্রতিবেশী বললেন, ঘুরতে যাব না। অন্য একটা কারণে যাওয়ার দরকার ছিল। আমি কারণটা জানতে চাইতেই তিনি বললেন, একটা ডিজাইন দেখতে যাব। কীসের ডিজাইন জানেন? জলহস্তী যে জায়গাটায় থাকে, সেই জায়গাটার ডিজাইন। আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন বলেন তো! প্রতিবেশী বললেন, না মানে, বাসার সামনে এ ডিজাইনের একটা গর্ত খুঁড়ব। তারপর সারা দিন শরীর ডুবিয়ে বসে থাকব। যা গরম পড়েছে ভাই! আমার এক বড়ভাই বললেন, কী একটা বিপদ বল তো দেখি! গরমের কারণে কিনা সংসারে অশান্তি লেগে গেল। এখন তোর ভাবি আমাকে খুঁজছে ঝাড়ুপেটা করার জন্য। আমি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বললাম, বলছেন কী ভাই! আর এই যে বললেন গরমের কারণে সংসারে অশান্তি লেগে গেছে, এ বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলবেন? বড়ভাই বললেন, হয়েছে কি, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কদিন ধরেই আমি একটা কাজ করছিলাম। কী কাজ জানিস? ফ্রিজের দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকছিলাম। ফ্রিজের ভিতর থেকে ঠান্ডা বাতাসের মতো কিছু একটা বের হয় না? আহা! শরীরটা একদম জুড়িয়ে যায়। আমি বললাম, কথা সত্য। আমিও প্রায়ই এটা করি। বড়ভাই বললেন, এ কাজ সব বেটাই করে। কিন্তু বিপদে পড়েছি আমি। দিনে চার- পাঁচবার এভাবে ফ্রিজের দরজা খুলে ১৫-২০ মিনিট করে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ফ্রিজের সব খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তোর ভাবি কেবল হায় হায় করছে আর ঝাড়ু হাতে নিয়ে আমাকে খুঁজছে।
শিরোনাম
- ফেব্রুয়ারিতেই স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
- দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে উদযাপিত হবে : আইজিপি
- অনিয়ম দূর করতে প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- যশোরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারেক রহমান
- পরের রাউন্ডে ভালো খেলবে বাংলাদেশ : নান্নু
- বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
- বাংলাদেশকে গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভে যোগদানের আমন্ত্রণ চীনের
- অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
- খানসামায় ৬৮ কেজি গাঁজাসহ আটক ১
- হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- সাত দফা দাবিতে লক্ষ্মীপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু
- অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
- ফেনীতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এক ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
- কুয়েত চেম্বারে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের বিশেষ সভা
- শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
- দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু
গরমে অবস্থা কেরোসিন
তিনি বললেন, একটা ডিজাইন দেখতে যাব। কীসের ডিজাইন জানেন? জলহস্তী যে জায়গাটায় থাকে, সেই জায়গাটার ডিজাইন। আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন বলেন তো!
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
সর্বশেষ খবর