সাবিত্রী সরোবরে
খোলা জানালার মতো দুই চোখ
নেমে এলো আড়ম্বরহীন বৃষ্টি বিনা মেঘে।
তুমি বেপরোয়া সাঁতারে ব্যস্ত
আমার অস্তিত্ব তোমার অনিচ্ছার অন্তরালে
ভেজা কাঠের ভ্যাপসা ধোঁয়ার মত সঞ্চরণশীল।
নৈঋৃতে আড়াআড়ি আধশোয়া তালগাছ সাক্ষী
সাঁতারের নামে তুমি জলের সাথেই
করেছ ছলনা...
তুমিতো হাঁস নও, ঝাড়া দিলেই নির্জলা
ভারমুক্ত হয়ে যাবে মসৃণ রূপালী পালক;
তুমিতো দেবী নও, অথৈ জলে ডুবালে অঙ্গ
ভিজবে না চুল; ভাঁজে ভাঁজে রয়ে যাবে
অসিক্ত অঙ্গের বসন।
ঘোলাজলে মৃন্ময়ী বাসনা সে তো ক্ষণিকের ছলা
বাষ্পহীন করুণা মেঘের ছায়া যাচে পিঞ্জরের সুখ
হারাবার আগেই যে ধরা দেয়
খোঁজার আগেই নিখোঁজ সে অচেনা অসুখ।
চিন্চিন্ খিন্খিন্ অস্তিত্বের অন্দরে সে
রয়ে যায় নাম গোত্র পরিচয়বিহীন।