শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
সত্যিকারের হিরো

কার্লোস অ্যারেডন্ডো দ্য বোস্টন ম্যারাথন বোম্বিং

শনিবারের সকাল ডেস্ক

কার্লোস অ্যারেডন্ডো দ্য বোস্টন ম্যারাথন বোম্বিং

ফ্রেড রজার্স বলেছিলেন, ‘বিপদে আমাদের সাহায্য প্রয়োজন, যা সবসময় আমাদের আশপাশেই মেলে।’ কথাটি মিথ্যা নয়। বিশ্বে চলছে গণহত্যা ও সন্ত্রাসী হামলা। এ সময় আর্তপীড়িতদের পাশে এসে সবাই দাঁড়াতে পারেন না। তবে কেউ কেউ এমন ঘোর বিপদেও দেন বন্ধুর পরিচয়। অন্যের প্রাণ রক্ষার্থে বিলিয়ে দেন নিজের জীবন। ইতিহাসের আলোচিত নানা ঘটনায় বেশ কিছু সত্যিকারের হিরোর দেখা মিলেছে। এমন হিরোদের নিয়েই এই ধারাবাহিক আয়োজন।

 

২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল, বোস্টনে ম্যারাথনের শেষ প্রায়। লাইন অতিক্রম শেষ হলে মিলবে বিজেতা। কিন্তু হঠাৎ প্রকা- বোমা হামলা। মুহূর্তে উল্ল­াসে ভরা মাঠ পরিণত হলো রণাঙ্গনে। ভয়াবহ সেই বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং আহত হন প্রায় ২৬৪ জন। সেদিন বেশির ভাগ মানুষই প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছিলেন।

এর মাঝেও কিছু মানুষকে দেখা যায় স্রোতের বিপরীতে। তারা ছুটে যান হামলা প্রাঙ্গণে। উদ্দেশ্য অন্যের প্রাণ বাঁচানো। নিজের কথা ভাবেননি। কার্লোস অ্যারেডন্ডো ছিলেন তাদের একজন। হামলার শুরু থেকেই আহতদের উদ্ধারে কাজ করেন অ্যারেডন্ডো। জেফ বুমান ছিলেন অ্যারেডন্ডোর হাত পাওয়াদের একজন। যিনি ছিলেন ম্যারাথনের দৌড় শেষ করার লাইনের ডানে। বুমানের পা তখন বোমার আঘাতে জর্জরিত। তখন তার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম এবং তিনি অ্যাম্বুলেন্সের হুইসেলও শুনতে পাচ্ছিলেন। তখন ভিড় ঢেলে অ্যারেডন্ডো তাকে কোলে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন। এভাবেই বুমান সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তার অসহায়ত্ত ও অ্যারেডন্ডোর বীরত্বের গল্প। অ্যারেডন্ডো সেই হামলার পর গোটা রাজ্যের হিরো বনে যান, কেননা তার উদ্ধারের মুহূর্ত বহু ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় বন্দী হয়ে যায়। তবে অ্যারেডন্ডো একা নন। সেদিন ম্যারাথনে এক দম্পতিও উপস্থিত ছিলেন। তারা মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য পাশের একটি কফি শপ থেকে ন্যাপকিন নিয়ে ছোটাছুটি করেন। এখানে প্রশ্নের কোনো অবকাশ নেই। অ্যারেডন্ডো সেদিন মানবতার অনন্য উদাহরণ হন ঠিকই, কিন্তু সেদিন বুমান এবং আরও অনেকের বিপদে সাহায্যের প্রয়োজনও ছিল।

সর্বশেষ খবর