২০২৩ সালে ইউরোপে তীব্র তাপপ্রবাহে ৪৭,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো। বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ (ISGlobal) থেকে সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সাল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইউরোপে তাপপ্রবাহের ঝুঁকি বাড়ছে। ইউরোপ এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত উষ্ণায়নকারী মহাদেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে তীব্র তাপের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
ISGlobal-এর গবেষণায় উঠে এসেছে যে, যদি গত ২০ বছরে উষ্ণতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া না হতো, তবে এই মৃত্যুর সংখ্যা ৮০% বেশি হতে পারত। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫টি ইউরোপীয় দেশের মৃত্যু এবং তাপমাত্রার রেকর্ড বিশ্লেষণ করে, তীব্র তাপের কারণে ৪৭,৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী, গ্রীস, বুলগেরিয়া, ইতালি এবং স্পেন ছিল তাপপ্রবাহ-সম্পর্কিত মৃত্যুর হারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ।
ISGlobal-এর গবেষক এবং প্রধান লেখক এলিসা গালো বলেন, আমাদের ফলাফলগুলি দেখায় যে, বর্তমান শতাব্দীতে উচ্চ তাপমাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সামাজিক প্রক্রিয়াগুলো কীভাবে সাম্প্রতিক গ্রীষ্মগুলিতে তাপ-সম্পর্কিত দুর্বলতা এবং মৃত্যুহারের বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে, বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে।
এই গবেষণা ইউরোপের দেশগুলিতে তাপপ্রবাহের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।