ভারতের মহাকাশবিদ ডর্জে আংচুক লাদাখের হানলে অবস্থিত ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণনের একটি অসাধারণ টাইম-ল্যাপস ভিডিও তৈরি করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতের আকাশে মিল্কি ওয়ে স্থির থেকে পৃথিবী ঘূর্ণন করছে। এই প্রকল্পটি পৃথিবীর ঘূর্ণন ও দিন-রাতের পরিবর্তন দেখানোর জন্য নতুন এক দৃষ্টিকোণ এনে দিয়েছে।
মহাকাশবিদ ডর্জে আংচুক তার ভিডিওটির শিরোনামে লিখেছেন, এক দিনের চলাচল - পৃথিবীর ঘূর্ণন ধরা পড়ল। তিনি বলেন, তার লক্ষ্য ছিল পুরো ২৪ ঘণ্টার একটি টাইম-ল্যাপস তৈরি করা, যাতে দিন থেকে রাত এবং রাত থেকে দিনের পরিবর্তন ফুটে ওঠে।
তবে এই প্রকল্পের পথে অসংখ্য বাধা ছিল। প্রথমে তিনি আকাশে উঁচু অবস্থানে থাকা ওরায়ন নক্ষত্রপুঞ্জকে ক্যামেরায় ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উচ্চতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। লাদাখের প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পরিবেশ তার ক্যামেরার ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে দিচ্ছিল। এছাড়া মেমোরি স্টোরেজ সমস্যা, টাইমার ত্রুটি এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতাও তাকে বারবার ব্যর্থতার মুখে ফেলেছিল।
চারটি দীর্ঘ রাতের চেষ্টায়, ডর্জে আংচুক এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। অবশেষে একটি ট্র্যাকার ব্যবহার করে ক্যামেরার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ এবং মোবাইলের সাহায্যে এক্সপোজার ঠিক করার কৌশল রপ্ত করেন। এর ফলে, পৃথিবীর ঘূর্ণনের একটি নিরবচ্ছিন্ন এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় টাইম-ল্যাপস তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি।
তবে ভিডিও তৈরি করার পরও পোস্ট-প্রসেসিংয়ে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। ফ্রেমিংয়ের অসামঞ্জস্য দূর করার জন্য ভিডিওটি সাবধানে সম্পাদনা করতে হয়েছে। এই প্রকল্পের অনুপ্রেরণা ছিল একটি টাইম-ল্যাপস ভিডিও তৈরি করা, যা ছাত্রদের পৃথিবীর ঘূর্ণন বোঝাতে সাহায্য করবে।
ডর্জে আংচুক বলেন, এই ধারণাটি এসেছিল, যখন আমাকে বলা হয়েছিল, টাইম-ল্যাপসের মাধ্যমে ছাত্রদের পৃথিবীর ঘূর্ণন বোঝানো সম্ভব কি না। ভিডিওটি যদি ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স দিয়ে করা যেত, তবে আরও আকর্ষণীয় হতো। এটি পুরোপুরি উপভোগ করার জন্য লুপ মোডে এবং ফুল স্ক্রিনে দেখা উচিত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল