শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১

সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এক বিস্ময়কর বাংলাদেশের কথা

ড. আতিউর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এক বিস্ময়কর বাংলাদেশের কথা

বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে এলে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করে। সে সময়ের নির্মম বাস্তবতায় তিনি মোটেও না ঘাবড়িয়ে মানুষের বিপুল প্রাণশক্তিকে উদ্দীপ্ত করে ধ্বংসস্তূপের বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর এক অভাবনীয় অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের স্ফূরণ ঘটান। বঙ্গবন্ধু ভালো করেই জানতেন সাড়ে সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশের সেদিনের অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। মাথাপিছু আয় মাত্র ৯৩ ডলার। সঞ্চয় জিডিপির মাত্র তিন শতাংশ। একমাত্র কৃষিই ভরসা। জিডিপির প্রায় ৬০ শতাংশ আসছিল কৃষিখাত থেকে। শিল্পের অবদান ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। আর বাদবাকি ৩৪ শতাংশ আসছিল সেবা খাত থেকে। নগরে বাস করত জনসংখ্যার ৮.২ শতাংশ। জীবনের গড় আয়ু ৪৭। প্রতি সক্ষম দম্পতির গড় সন্তান সংখ্যা ৬:৯। নারীর বাঁচার সুযোগ খুবই সংকীর্ণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার তিন শতাংশের মতো। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার সারা বিশ্বে প্রায় সর্বোচ্চ।

বিশ্বের সবচেয়ে গরিব তিনটি দেশের একটি হিসেবে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হতো। মানুষ বাঁচানোই তখন দায়। নতুন করে জীবন শুরু করতে মানুষ প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর পরই তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাসনভার কাঁধে তুলে নেন আমাদের ভরসার প্রতীক বঙ্গবন্ধু। প্রথম দিন থেকেই প্রণয়ন করতে থাকেন গণমুখী সব নীতিমালা। আর ঝাঁপিয়ে পড়েন সেই সব নীতির কার্যকর বাস্তবায়নে। ওই কঠিন সময়েও তিনি কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন? ১৯৭২ সালের ৯ মে এক ভাষণে তিনি তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশের চিত্র এঁকেছিলেন একজন নান্দনিক রাজনৈতিক কবির মতো।

এমন করে দুঃখী মানুষের দুঃখ মোচনের অভিপ্রায় আর কোন্ নেতার মুখ থেকে এত সোজা-সাপ্টা ভাষায় উচ্চারিত হয়েছে? আর তাঁর মুখ থেকে উচ্চারিত গণমানুষের ভাগ্যবদলের এসব স্বপ্ন পূরণে তিনি রাত দিন আমৃত্যু পরিশ্রম করে গেছেন। শূন্য থেকে যাত্রা করে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে আমাদের দেশটাকে উন্নয়নের ‘এক্সপ্রেসওয়েতে’ উঠিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কি করে সফল হওয়া যায় সেই সংস্কৃতি তিনিই আমাদের শিখিয়ে গেছেন। নিঃসন্দেহে সময়টা ছিল খুবই বৈরী। তিন ডলারের এক ব্যারেল তেলের দাম এগারো ডলারে উঠে গেল। টন প্রতি ৮০ ডলারের গমের দাম এক লাফে ২৪০ ডলার হয়ে গেল। এক টন সারের দামও ৮০ ডলার থেকে ২০০ ডলারে উঠে গেল। অন্যদিকে খাদ্য সাহায্য প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র নানা অযৌক্তিক শর্ত আরোপ করতে শুরু করল। এত সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের এক নয়া ইতিহাস গড়ার ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গেছেন আমাদের জন্য। দ্রুততম সময়ে পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য সংবিধানেই মানবাধিকার, বিকেন্দ্রীকরণ, সবার জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষির আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন, সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রেখে ‘সবার জন্য সমান সুযোগে’র অঙ্গীকার করলেন। আর এসব জন-আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও জনমানুষের সমাবেশকে মূল কৌশল হিসেবে বেছে নিলেন প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়। দেশের সেরা অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গড়ে তুললেন শক্তিশালী পরিকল্পনা কমিশন। এই কমিশন জনস্বার্থে ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করলেন বঙ্গবন্ধু নিবিড় পরিচর্যায়। কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন প্রণয়ন করেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন।

কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নে সমান গুরুত্ব দিলেন। কৃষি অবকাঠামো পুননির্মাণ, উচ্চফলনশীল বীজের সরবরাহ, আধুনিক সেচযন্ত্রের আমদানি, ভর্তুকি বা বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষকদের বিরুদ্ধে এক লাখ সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, কৃষি ঋণের ব্যবস্থা এবং কৃষকদের জন্য ন্যায্যমূল্য এবং রেশন সুবিধা চালুর মতো উদ্যোগগুলো শুরু করলেন দ্রুতই। কৃষি উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে কৃষি ¯œাতকদের ক্যাডারভুক্ত করা, বার্ক, বিরি, বারি ও বিনার মতো গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগও তিনিই নিয়েছিলেন। শুধু কৃষি নয়, সমকালীন বাস্তবতা মেনেই তিনি পাকিস্তানি উদ্যোক্তাদের ফেলে যাওয়া শিল্পকারখানাগুলোর দ্রুত রাষ্ট্রীয়করণ করে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চালু রাখেন। ওই সময় এর কোনো বিকল্পও ছিল না। কিন্তু তিনি ব্যক্তিখাতের বিকাশের সুযোগও তাঁর নীতি কাঠামোতে রেখেছিলেন। তাই দেখতে পাই ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে তিন কোটি টাকায় উন্নীত হয়ে যায়। ১৩৩টি পরিত্যক্ত শিল্পকারখানা ব্যক্তিখাতে অর্পণ করা হয়। সমবায়কেও অন্যতম খাত হিসেবে তিনি সংবিধানে স্বীকৃতি দেন।

চার বছরেরও কম সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ক্ষুদ্র অর্থনীতির একটি দেশকে এমন করে ঘুরে দাঁড়ানোর যে ইতিহাস তিনি সৃষ্টি করে গেছেন তা সত্যি বিরল। এই অল্প সময়েই তিনি আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিকে যেমন শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন, একইভাবে তাকে জনগণ-কেন্দ্রিকও করতে সচেষ্ট ছিলেন। এই কয়েক বছরেই বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয়কে ৯৩ ডলার থেকে টেনে ২৭৩ ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।  আমাদেরই দুর্ভাগ্য ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর এই অগ্রযাত্রাকে সাময়িকভাবে হলেও থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ওই আক্রমণের পর থেকে বাংলাদেশ হাঁটতো প্রগতির উল্টো দিকে। ১৯৭৬ সালেই শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পড়ে যায় ১৩৮ ডলারে। এর পরের বছর তা আরও কমে ১২৮ ডলারে নেমে আসে। আর দেশ থেকে সুবচন ও সুবিচারও হারিয়ে যায়। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে ফের পরিবর্তনের সূচনা হয় ১৯৯৬ সালে। মাত্র পাঁচ বছরেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পিতার দেখানো জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের পথে নিয়ে আসেন বাংলাদেশকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা পাঁচ বছরে ফের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চালু করেন। কৃষি ও ব্যক্তিখাতের প্রসারে বিশেষ মনোযোগ দেন। কিন্তু ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতায় আবারও বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে উন্নয়ন অভিযাত্রায় ছেদ পড়ে। তবে আবার জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেই বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১২ বছর আগে।

১৯৭৫-এর পর থেকে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৭ গুণ বেড়ে ২০২০ সালে দুই হাজার ডলার পেরিয়ে গেছে। এ সময়টায় মাথাপিছু আয়ের যে বৃদ্ধি হয়েছে তার ৭৩ শতাংশই হয়েছে গত একযুগে। সামষ্টিক অর্থনীতির এই রূপান্তরে অবশ্যি জিডিপিতে কৃষির অবদান কমেছে। আর সে জায়গা দখল করেছে শিল্পখাত। উন্নয়নের এটিই নিয়ম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষির অবদান ছিল জিডিপির ১৩.৭ শতাংশ। শিল্পের অবদান সে বছর ছিল ৩৫ শতাংশ। অথচ ১৯৯৯-২০০০ সালেও কৃষির অবদান ছিল ২৫ শতাংশ। আর শিল্পের অবদান ছিল ১৮ শতাংশ। শিল্প খাতের বিকাশে সরকারের বিশেষ মনোযোগ থাকায় গত এক যুগে এই খাতের অবদান যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ২০০৯-১০ সালে শিল্পের অবদান ছিল ২০ শতাংশ। আর ২০১৮-১৯ সালে তা ৩৫ শতাংশ হয়ে যায়। তবে কৃষির ওপর থেকে সরকার নজর সরায়নি। কৃষিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। এখন আমরা উৎপাদন করে ৩.৭ মেট্রিক টনেরও বেশি। কৃষি উৎপাদন এতটা বাড়ার পরেও কিন্তু কৃষি মজুরির হার কমেনি। বরং বেড়েছে। কারণ, গ্রামে অকৃষি আয়ের সুযোগ বেড়েছে। মোট গ্রামীণ আয়ের ৬০ শতাংশই এখন অকৃষি খাত থেকে আসে।

আমাদের জিডিপির আকার এখন বেড়েছে। আর এর পিছনে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিও কাজ করেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে জিডিপি-বিনিয়োগ অনুপাত ছিল ২৬.৩ শতাংশ, আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ৩১.৬ শতাংশে। এ সময় সরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে ৪.৭% থেকে ৮.১৭%। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ একই সময়ে বেড়েছে জিডিপির ২১.৬ শতাংশ থেকে ২৩.৪ শতাংশে। ২০২০ সালে এ সম্পর্কিত সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম হয়েছে। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৩৭২ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ১০০ গুণ বেড়ে ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও একই গতি দেখতে পাই। বরং ইদানীং এর বৃদ্ধির হার আরও বেশি হচ্ছে। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে বছরে আমরা ৪৭ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ১৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তার মানে এই সময়টায় তা ৩৮৫ গুণ বেড়েছে। দেশের উন্নয়নে রাজস্ব আহরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নব্বই দশকে গড়ে আমাদের রাজস্ব আদায় হতো ৫ হাজার কোটি টাকার মতো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আদায়ে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২.৩ শতাংশ।

গত ১২ বছরে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। সামাজিক পিরামিডের নিচের মানুষগুলো এখন ডিজিটাল লেনদেনে ব্যাপক হারে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল লেনদেন অবকাঠামো তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে, ২০০৯ সাল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে অভিযান শুরু হয়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-স্বাস্থ্য তথা পুরো অর্থনীতি ও সমাজ যুক্ত হয়েছে। আমার মনে আছে, ২০১৩ সালে আমরা অনলাইন রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে ইনওয়ার্ড ও আউটওয়ার্ড রেমিট্যান্স রিপোর্টিংয়ের সূচনা করি। অথোরাইজড ডিলার শাখাগুলোকে এই মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। এ ব্যবস্থা এখন আরও উন্নত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংক কাস্টমস, এনবিআর এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাঝে সমন্বয় অনেকটাই বেড়েছে। নীতি ও বিধিমালা প্রণয়নে প্রতিষ্ঠানগুলো এক সঙ্গে কাজ করতে পারছে। এফসি অ্যাকাউন্টগুলো মনিটরিংও এখন বেশ সহজ হয়েছে। লেনদেন সহজ করার জন্য আমরা অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক, রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্টের মতো ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে এই করোনার সময়, বিশেষ করে লকডাউনের সময় ঘরে বসেই ব্যাংকাররা গ্রাহকদের দ্রুত সেবা দিতে পেরেছেন।

আমরা ২০১১ সালে মোবাইল আর্থিক সেবা নীতিমালা এবং ২০১৩ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করেছিলাম। আজ তাই গ্রামে, গঞ্জে, শহরের পাড়ায় পাড়ায় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রান্তজনগণ সবাই আর্থিক সেবা নিতে পারছেন। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ঝটপট আনুষ্ঠানিকভাবেই তাদের পরিবারের নারীসহ অন্য সদস্যরা তুলতে পারছেন। খানিকটা সঞ্চয়ও করতে পারছেন। আমরা যখন ২০১০ সালে কৃষক ও প্রান্তজনের জন্য দশ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন স্বপ্ন ছিল এ দেশের সবাই কোনো না কোনো ধরনের আর্থিক সেবা পাবেন। এদেশের সুবিধে বঞ্চিত মানুষ এখন ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা পাচ্ছেন, স্কুলের বাচ্চারা ব্যাংকিং করছেন এবং গার্মেন্টকর্মী, শ্রমজীবী মানুষ প্রতিদিন এই সেবার সুফল পাচ্ছেন। ই-কমার্স, আউটসোর্সিং সেবাও এই ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। আবার ব্লকচেইন প্রযুক্তির মতো আধুনিক ডিজিটলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো কোনো ব্যাংক বাণিজ্য সেবার অটোমেশন শুরু করে দিয়েছে।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য গত ১২ বছরে ৩১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। মহামারীর কারণে হয়তো চলতি বছরে এ হার খানিকটা বেড়েছে। তবে মহামারী মোকাবিলায়, বিশেষ করে টিকা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই কার্যকরী হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের সূচকেও বাংলাদেশ খুব ভালো করছে। মানুষের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার আশাতীতভাবে কমেছে। বুভুক্ষা ও অপুষ্টির সূচকেও বিরাট অগ্রগতি ঘটেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের পদার্পণ বিরাট এক সাফল্য। এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে এই করোনা দুর্যোগেও বঙ্গবন্ধুকন্যার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিস্ময়করভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাঁর নেতৃত্বের গুণে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবসহ অন্য নেতৃবৃন্দ কর্তৃক সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছেন। আগামী দিনের ‘সোনার বাংলা’ আরও দ্রুত অর্জনের জন্য ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা আরও জোরদার ও গতিময় করতে হবে। বাস্তবায়নের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে নিচের প্রস্তাবনার ওপরে আরও নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করি।

এক. মহামারী-উত্তর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটি হতে হবে আরও সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।

দুই. মানুষের ওপর বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার ওপর বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে।

তিন. আগামীর পৃথিবী হবে পুরোপুরি ডিজিটাল। তাই ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ছাড়াও আউটসোর্সিংসহ উদীয়মান ডিজিটাল ব্যবসা বাণিজ্যের স্বার্থে নীতি ও অর্থ সহায়তা দিতে হবে।

চার. কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সব ধরনের সহায়তা বাড়িয়ে যেতে হবে।

পাঁচ. ব্যক্তিখাতের প্রাধান্য থাকবেই। তারাই বেশি বিনিয়োগ করবে। সরকার তাদের নীতি সহায়তা ও আর্থিক সহযোগিতা এমনভাবে দেবে যেন তারা সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি সহায়ক উদ্যোগে উৎসাহী হন।

ছয়. উচ্চশিক্ষাকে আমাদের চতুর্থ বিপ্লবের সারথি হতে হবে। শিল্পের চাহিদানুযায়ী জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষার ভূমিকা পালন করতে হবে।

সাত. কৃষির আধুনিকায়ন ও সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই।

আট. নগরায়ন হতে হবে স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই। শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম নয় সব শহরকেই হতে হবে সবুজ ও জনবান্ধব।

নয়. বড় অবকাঠামো নির্মাণের সময় ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজের কথা ভুললে চলবে না।

দশ. উপ-আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভ্যালু-চেইন জোরদার করতে হবে। সরবরাহ চেইনকে দক্ষ করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপরও জোর দিতে হবে।

এগার. রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা অনেকটাই বাড়াতে হবে।

এসব উদ্যোগ নিতে পারলে আমরা যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলাম তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে না। এক সময় আমরা উন্নত দেশও হতে পারব। এসব উদ্যোগের বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য নীতি মনোযোগ, অর্থায়ন ও ব্যাপক ডিজিটাল রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রতি নিউইয়র্কের বিখ্যাত আর্থিক দৈনিক ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালের এক প্রবন্ধে লেখা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে। মাথা পিছু আয় এবং পোশাক শিল্পনির্ভর রপ্তানি খাতের সাফল্যের কারণেই আজ এ অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের মতোই রপ্তানি শিল্পের বিকাশের পথ ধরেই বাংলাদেশ সফল এশীয় উন্নয়ন মডেলের বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছে বলে দৈনিকটি মনে করে।

মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা দলমত নির্বিশেষে দেশকে জানব, দেশকে ভালোবাসব এবং জাতির পিতার আরাধ্য ‘সোনার বাংলা’ অর্জনে নিবেদিত থাকব সেই প্রত্যাশা করছি। 

লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে এনসিপির কর্মসূচি আজ
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে এনসিপির কর্মসূচি আজ

এই মাত্র | রাজনীতি

ঢাবির ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দ্রুত সংস্কারের দাবি ছাত্রদলের
ঢাবির ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দ্রুত সংস্কারের দাবি ছাত্রদলের

৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২২ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২২ নভেম্বর ২০২৫

২৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পর থেকে ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত : জাতিসংঘ
যুদ্ধবিরতির পর থেকে ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত : জাতিসংঘ

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ লুইস দিয়াস
তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ লুইস দিয়াস

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া
ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া
ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার
সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট
কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক
যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন