শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১

সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এক বিস্ময়কর বাংলাদেশের কথা

ড. আতিউর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এক বিস্ময়কর বাংলাদেশের কথা

বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে এলে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করে। সে সময়ের নির্মম বাস্তবতায় তিনি মোটেও না ঘাবড়িয়ে মানুষের বিপুল প্রাণশক্তিকে উদ্দীপ্ত করে ধ্বংসস্তূপের বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর এক অভাবনীয় অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের স্ফূরণ ঘটান। বঙ্গবন্ধু ভালো করেই জানতেন সাড়ে সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশের সেদিনের অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। মাথাপিছু আয় মাত্র ৯৩ ডলার। সঞ্চয় জিডিপির মাত্র তিন শতাংশ। একমাত্র কৃষিই ভরসা। জিডিপির প্রায় ৬০ শতাংশ আসছিল কৃষিখাত থেকে। শিল্পের অবদান ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। আর বাদবাকি ৩৪ শতাংশ আসছিল সেবা খাত থেকে। নগরে বাস করত জনসংখ্যার ৮.২ শতাংশ। জীবনের গড় আয়ু ৪৭। প্রতি সক্ষম দম্পতির গড় সন্তান সংখ্যা ৬:৯। নারীর বাঁচার সুযোগ খুবই সংকীর্ণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার তিন শতাংশের মতো। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার সারা বিশ্বে প্রায় সর্বোচ্চ।

বিশ্বের সবচেয়ে গরিব তিনটি দেশের একটি হিসেবে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হতো। মানুষ বাঁচানোই তখন দায়। নতুন করে জীবন শুরু করতে মানুষ প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর পরই তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাসনভার কাঁধে তুলে নেন আমাদের ভরসার প্রতীক বঙ্গবন্ধু। প্রথম দিন থেকেই প্রণয়ন করতে থাকেন গণমুখী সব নীতিমালা। আর ঝাঁপিয়ে পড়েন সেই সব নীতির কার্যকর বাস্তবায়নে। ওই কঠিন সময়েও তিনি কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন? ১৯৭২ সালের ৯ মে এক ভাষণে তিনি তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশের চিত্র এঁকেছিলেন একজন নান্দনিক রাজনৈতিক কবির মতো।

এমন করে দুঃখী মানুষের দুঃখ মোচনের অভিপ্রায় আর কোন্ নেতার মুখ থেকে এত সোজা-সাপ্টা ভাষায় উচ্চারিত হয়েছে? আর তাঁর মুখ থেকে উচ্চারিত গণমানুষের ভাগ্যবদলের এসব স্বপ্ন পূরণে তিনি রাত দিন আমৃত্যু পরিশ্রম করে গেছেন। শূন্য থেকে যাত্রা করে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে আমাদের দেশটাকে উন্নয়নের ‘এক্সপ্রেসওয়েতে’ উঠিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কি করে সফল হওয়া যায় সেই সংস্কৃতি তিনিই আমাদের শিখিয়ে গেছেন। নিঃসন্দেহে সময়টা ছিল খুবই বৈরী। তিন ডলারের এক ব্যারেল তেলের দাম এগারো ডলারে উঠে গেল। টন প্রতি ৮০ ডলারের গমের দাম এক লাফে ২৪০ ডলার হয়ে গেল। এক টন সারের দামও ৮০ ডলার থেকে ২০০ ডলারে উঠে গেল। অন্যদিকে খাদ্য সাহায্য প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র নানা অযৌক্তিক শর্ত আরোপ করতে শুরু করল। এত সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের এক নয়া ইতিহাস গড়ার ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গেছেন আমাদের জন্য। দ্রুততম সময়ে পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য সংবিধানেই মানবাধিকার, বিকেন্দ্রীকরণ, সবার জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষির আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন, সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রেখে ‘সবার জন্য সমান সুযোগে’র অঙ্গীকার করলেন। আর এসব জন-আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও জনমানুষের সমাবেশকে মূল কৌশল হিসেবে বেছে নিলেন প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়। দেশের সেরা অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গড়ে তুললেন শক্তিশালী পরিকল্পনা কমিশন। এই কমিশন জনস্বার্থে ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করলেন বঙ্গবন্ধু নিবিড় পরিচর্যায়। কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন প্রণয়ন করেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন।

কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নে সমান গুরুত্ব দিলেন। কৃষি অবকাঠামো পুননির্মাণ, উচ্চফলনশীল বীজের সরবরাহ, আধুনিক সেচযন্ত্রের আমদানি, ভর্তুকি বা বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষকদের বিরুদ্ধে এক লাখ সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, কৃষি ঋণের ব্যবস্থা এবং কৃষকদের জন্য ন্যায্যমূল্য এবং রেশন সুবিধা চালুর মতো উদ্যোগগুলো শুরু করলেন দ্রুতই। কৃষি উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে কৃষি ¯œাতকদের ক্যাডারভুক্ত করা, বার্ক, বিরি, বারি ও বিনার মতো গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগও তিনিই নিয়েছিলেন। শুধু কৃষি নয়, সমকালীন বাস্তবতা মেনেই তিনি পাকিস্তানি উদ্যোক্তাদের ফেলে যাওয়া শিল্পকারখানাগুলোর দ্রুত রাষ্ট্রীয়করণ করে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চালু রাখেন। ওই সময় এর কোনো বিকল্পও ছিল না। কিন্তু তিনি ব্যক্তিখাতের বিকাশের সুযোগও তাঁর নীতি কাঠামোতে রেখেছিলেন। তাই দেখতে পাই ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে তিন কোটি টাকায় উন্নীত হয়ে যায়। ১৩৩টি পরিত্যক্ত শিল্পকারখানা ব্যক্তিখাতে অর্পণ করা হয়। সমবায়কেও অন্যতম খাত হিসেবে তিনি সংবিধানে স্বীকৃতি দেন।

চার বছরেরও কম সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ক্ষুদ্র অর্থনীতির একটি দেশকে এমন করে ঘুরে দাঁড়ানোর যে ইতিহাস তিনি সৃষ্টি করে গেছেন তা সত্যি বিরল। এই অল্প সময়েই তিনি আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিকে যেমন শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন, একইভাবে তাকে জনগণ-কেন্দ্রিকও করতে সচেষ্ট ছিলেন। এই কয়েক বছরেই বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয়কে ৯৩ ডলার থেকে টেনে ২৭৩ ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।  আমাদেরই দুর্ভাগ্য ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর এই অগ্রযাত্রাকে সাময়িকভাবে হলেও থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ওই আক্রমণের পর থেকে বাংলাদেশ হাঁটতো প্রগতির উল্টো দিকে। ১৯৭৬ সালেই শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পড়ে যায় ১৩৮ ডলারে। এর পরের বছর তা আরও কমে ১২৮ ডলারে নেমে আসে। আর দেশ থেকে সুবচন ও সুবিচারও হারিয়ে যায়। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে ফের পরিবর্তনের সূচনা হয় ১৯৯৬ সালে। মাত্র পাঁচ বছরেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পিতার দেখানো জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের পথে নিয়ে আসেন বাংলাদেশকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা পাঁচ বছরে ফের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চালু করেন। কৃষি ও ব্যক্তিখাতের প্রসারে বিশেষ মনোযোগ দেন। কিন্তু ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতায় আবারও বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে উন্নয়ন অভিযাত্রায় ছেদ পড়ে। তবে আবার জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেই বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১২ বছর আগে।

১৯৭৫-এর পর থেকে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৭ গুণ বেড়ে ২০২০ সালে দুই হাজার ডলার পেরিয়ে গেছে। এ সময়টায় মাথাপিছু আয়ের যে বৃদ্ধি হয়েছে তার ৭৩ শতাংশই হয়েছে গত একযুগে। সামষ্টিক অর্থনীতির এই রূপান্তরে অবশ্যি জিডিপিতে কৃষির অবদান কমেছে। আর সে জায়গা দখল করেছে শিল্পখাত। উন্নয়নের এটিই নিয়ম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষির অবদান ছিল জিডিপির ১৩.৭ শতাংশ। শিল্পের অবদান সে বছর ছিল ৩৫ শতাংশ। অথচ ১৯৯৯-২০০০ সালেও কৃষির অবদান ছিল ২৫ শতাংশ। আর শিল্পের অবদান ছিল ১৮ শতাংশ। শিল্প খাতের বিকাশে সরকারের বিশেষ মনোযোগ থাকায় গত এক যুগে এই খাতের অবদান যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ২০০৯-১০ সালে শিল্পের অবদান ছিল ২০ শতাংশ। আর ২০১৮-১৯ সালে তা ৩৫ শতাংশ হয়ে যায়। তবে কৃষির ওপর থেকে সরকার নজর সরায়নি। কৃষিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। এখন আমরা উৎপাদন করে ৩.৭ মেট্রিক টনেরও বেশি। কৃষি উৎপাদন এতটা বাড়ার পরেও কিন্তু কৃষি মজুরির হার কমেনি। বরং বেড়েছে। কারণ, গ্রামে অকৃষি আয়ের সুযোগ বেড়েছে। মোট গ্রামীণ আয়ের ৬০ শতাংশই এখন অকৃষি খাত থেকে আসে।

আমাদের জিডিপির আকার এখন বেড়েছে। আর এর পিছনে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিও কাজ করেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে জিডিপি-বিনিয়োগ অনুপাত ছিল ২৬.৩ শতাংশ, আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ৩১.৬ শতাংশে। এ সময় সরকারি বিনিয়োগ বেড়েছে ৪.৭% থেকে ৮.১৭%। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ একই সময়ে বেড়েছে জিডিপির ২১.৬ শতাংশ থেকে ২৩.৪ শতাংশে। ২০২০ সালে এ সম্পর্কিত সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম হয়েছে। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৩৭২ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ১০০ গুণ বেড়ে ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহেও একই গতি দেখতে পাই। বরং ইদানীং এর বৃদ্ধির হার আরও বেশি হচ্ছে। ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে বছরে আমরা ৪৭ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ১৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তার মানে এই সময়টায় তা ৩৮৫ গুণ বেড়েছে। দেশের উন্নয়নে রাজস্ব আহরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নব্বই দশকে গড়ে আমাদের রাজস্ব আদায় হতো ৫ হাজার কোটি টাকার মতো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আদায়ে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২.৩ শতাংশ।

গত ১২ বছরে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। সামাজিক পিরামিডের নিচের মানুষগুলো এখন ডিজিটাল লেনদেনে ব্যাপক হারে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল লেনদেন অবকাঠামো তৈরিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে, ২০০৯ সাল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে অভিযান শুরু হয়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-স্বাস্থ্য তথা পুরো অর্থনীতি ও সমাজ যুক্ত হয়েছে। আমার মনে আছে, ২০১৩ সালে আমরা অনলাইন রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে ইনওয়ার্ড ও আউটওয়ার্ড রেমিট্যান্স রিপোর্টিংয়ের সূচনা করি। অথোরাইজড ডিলার শাখাগুলোকে এই মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। এ ব্যবস্থা এখন আরও উন্নত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংক কাস্টমস, এনবিআর এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাঝে সমন্বয় অনেকটাই বেড়েছে। নীতি ও বিধিমালা প্রণয়নে প্রতিষ্ঠানগুলো এক সঙ্গে কাজ করতে পারছে। এফসি অ্যাকাউন্টগুলো মনিটরিংও এখন বেশ সহজ হয়েছে। লেনদেন সহজ করার জন্য আমরা অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক, রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্টের মতো ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে এই করোনার সময়, বিশেষ করে লকডাউনের সময় ঘরে বসেই ব্যাংকাররা গ্রাহকদের দ্রুত সেবা দিতে পেরেছেন।

আমরা ২০১১ সালে মোবাইল আর্থিক সেবা নীতিমালা এবং ২০১৩ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করেছিলাম। আজ তাই গ্রামে, গঞ্জে, শহরের পাড়ায় পাড়ায় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রান্তজনগণ সবাই আর্থিক সেবা নিতে পারছেন। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ঝটপট আনুষ্ঠানিকভাবেই তাদের পরিবারের নারীসহ অন্য সদস্যরা তুলতে পারছেন। খানিকটা সঞ্চয়ও করতে পারছেন। আমরা যখন ২০১০ সালে কৃষক ও প্রান্তজনের জন্য দশ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন স্বপ্ন ছিল এ দেশের সবাই কোনো না কোনো ধরনের আর্থিক সেবা পাবেন। এদেশের সুবিধে বঞ্চিত মানুষ এখন ডিজিটাল আর্থিক সেবার মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা পাচ্ছেন, স্কুলের বাচ্চারা ব্যাংকিং করছেন এবং গার্মেন্টকর্মী, শ্রমজীবী মানুষ প্রতিদিন এই সেবার সুফল পাচ্ছেন। ই-কমার্স, আউটসোর্সিং সেবাও এই ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা পাচ্ছে। আবার ব্লকচেইন প্রযুক্তির মতো আধুনিক ডিজিটলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো কোনো ব্যাংক বাণিজ্য সেবার অটোমেশন শুরু করে দিয়েছে।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য গত ১২ বছরে ৩১.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। মহামারীর কারণে হয়তো চলতি বছরে এ হার খানিকটা বেড়েছে। তবে মহামারী মোকাবিলায়, বিশেষ করে টিকা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই কার্যকরী হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের সূচকেও বাংলাদেশ খুব ভালো করছে। মানুষের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার আশাতীতভাবে কমেছে। বুভুক্ষা ও অপুষ্টির সূচকেও বিরাট অগ্রগতি ঘটেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের পদার্পণ বিরাট এক সাফল্য। এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে এই করোনা দুর্যোগেও বঙ্গবন্ধুকন্যার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ বিস্ময়করভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাঁর নেতৃত্বের গুণে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবসহ অন্য নেতৃবৃন্দ কর্তৃক সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছেন। আগামী দিনের ‘সোনার বাংলা’ আরও দ্রুত অর্জনের জন্য ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা আরও জোরদার ও গতিময় করতে হবে। বাস্তবায়নের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে নিচের প্রস্তাবনার ওপরে আরও নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করি।

এক. মহামারী-উত্তর পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটি হতে হবে আরও সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।

দুই. মানুষের ওপর বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার ওপর বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে।

তিন. আগামীর পৃথিবী হবে পুরোপুরি ডিজিটাল। তাই ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ছাড়াও আউটসোর্সিংসহ উদীয়মান ডিজিটাল ব্যবসা বাণিজ্যের স্বার্থে নীতি ও অর্থ সহায়তা দিতে হবে।

চার. কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সব ধরনের সহায়তা বাড়িয়ে যেতে হবে।

পাঁচ. ব্যক্তিখাতের প্রাধান্য থাকবেই। তারাই বেশি বিনিয়োগ করবে। সরকার তাদের নীতি সহায়তা ও আর্থিক সহযোগিতা এমনভাবে দেবে যেন তারা সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি সহায়ক উদ্যোগে উৎসাহী হন।

ছয়. উচ্চশিক্ষাকে আমাদের চতুর্থ বিপ্লবের সারথি হতে হবে। শিল্পের চাহিদানুযায়ী জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষার ভূমিকা পালন করতে হবে।

সাত. কৃষির আধুনিকায়ন ও সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই।

আট. নগরায়ন হতে হবে স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই। শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম নয় সব শহরকেই হতে হবে সবুজ ও জনবান্ধব।

নয়. বড় অবকাঠামো নির্মাণের সময় ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজের কথা ভুললে চলবে না।

দশ. উপ-আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভ্যালু-চেইন জোরদার করতে হবে। সরবরাহ চেইনকে দক্ষ করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপরও জোর দিতে হবে।

এগার. রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা অনেকটাই বাড়াতে হবে।

এসব উদ্যোগ নিতে পারলে আমরা যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলাম তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে না। এক সময় আমরা উন্নত দেশও হতে পারব। এসব উদ্যোগের বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য নীতি মনোযোগ, অর্থায়ন ও ব্যাপক ডিজিটাল রূপান্তরের কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রতি নিউইয়র্কের বিখ্যাত আর্থিক দৈনিক ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালের এক প্রবন্ধে লেখা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে। মাথা পিছু আয় এবং পোশাক শিল্পনির্ভর রপ্তানি খাতের সাফল্যের কারণেই আজ এ অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের মতোই রপ্তানি শিল্পের বিকাশের পথ ধরেই বাংলাদেশ সফল এশীয় উন্নয়ন মডেলের বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছে বলে দৈনিকটি মনে করে।

মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা দলমত নির্বিশেষে দেশকে জানব, দেশকে ভালোবাসব এবং জাতির পিতার আরাধ্য ‘সোনার বাংলা’ অর্জনে নিবেদিত থাকব সেই প্রত্যাশা করছি। 

লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সিরিয়ার এইচটিএসকে বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সিরিয়ার এইচটিএসকে বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে রাবাদা-মার্করামের সঙ্গে নিসাঙ্কা
আইসিসির মাসসেরার দৌড়ে রাবাদা-মার্করামের সঙ্গে নিসাঙ্কা

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি
পাকিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় ১৯ জনের প্রাণহানি

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর
ইলম ও আমলের পথ ধরে ৬৬ বছর

৩৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল
হিজরি সনের আগে আরবের বর্ষপঞ্জি যেমন ছিল

৩৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত
মাদারীপুরে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নতুন ঘোষণার পর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২
হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু,  নিখোঁজ ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ
শিক্ষার্থীদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের গাছের চারা বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা
দুর্দশা শহীদ হাসিবের পরিবারে, পায়নি সরকারি ভাতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা
বগুড়ায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা
গাজর খাওয়ার ৫ উপকারিতা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার তাগিদ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার তাগিদ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম