আমরা যখন মোহামেডানে খেলতাম তখন ভয়ে ভয়ে মাঠে নামতাম। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পয়েন্ট হারানো মানে লংকাকাণ্ড বেঁধে যাওয়া। চ্যাম্পিয়নের বদলে রানার্স আপ হলে সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ক্লাব ভাঙচুর করতে আসতেন। কথাগুলো বলেছিলেন এক সময় মাঠ কাঁপানো ডিফেন্ডার কায়সার হামিদ। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৭ সাল টানা একযুগ তিনি ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানের জার্সি পরে মাঠে নামেন। ফেডারেশন কাপে সর্বোচ্চ ১০ বার শিরোপা জেতা দল মোহামেডান এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি। অথচ গ্রুপে ছিল দুই দুর্বল প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ ও টিম বিজেএমসি। প্রথম ম্যাচে ড্র, পরের ম্যাচে বিজেএমসির কাছে হেরে যায়। কেন এই অবস্থা হলো তা জানতে চাওয়া হয় কায়সার হামিদের কাছে। ফুটবলে হারজিত থাকবেই। কিন্তু মোহামেডানের বর্তমান অবস্থা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ২০০২ সালের পর লিগ জিততে পারেনি। যা মোহামেডানের মতো দলের জন্য বড্ড বেমানান। আর ফেডারেশন কাপে এবার যা ঘটল তাতে দলের কর্মকর্তারা লজ্জা পেয়েছেন কিনা জানি না। দলের সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে গেছে। দেশের সাবেক সেরা ডিফেন্ডার বলেন, টানা চারবার রেকর্ডসহ মোহামেডানের সর্বোচ্চ শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে ফেডারেশন কাপে। শিরোপা জিততেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু শেষ আটে ঠাঁই পাবে না তা কি মানা যায়? হ্যাঁ, এটা মানি দল হিসেবে ততটা শক্তিশালী না মোহামেডান। তাই বলে রহমতগঞ্জ আর বিজেএমসিকে টপকিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারবে না তা কি মানার মতো। এমন অবস্থাতো ৮০ বা ৯০ দশকে কল্পনাই করা যেত না। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ড্র করলেই সমর্থকরা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠত। লজ্জায় আমরা বাইরে বের হতে পারতাম না। আর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে না পারলে কি অবস্থা হতো আপনারাই চিন্তা করুন। ১৯৮৬ সালের একটা উদাহরণ দিই। আবাহনী আমাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। সুপার লিগে মোহামেডান জিততে না পারলে আবাহনীর টানা চারবার শিরোপা জেতা নিশ্চিত হয়ে যাবে। জয় নিশ্চিত করতে চিমা, মনোরঞ্জন ধর ও ভাস্কর গাঙ্গুলীকে উড়িয়ে আনে আবাহনী। চিন্তাই আমরা অস্থির। আগের দিন সমর্থকরা হুমকি দিয়ে গেছে জিততে না পারলে ক্লাবে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মাঠে নামার আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ম্যাচে জিততে না পারলে ক্লাবে যাব না। যে যার মতো নিরাপদ স্থানে চলে যাব। এ ব্যাপারে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। তবে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে আমরা ২-০ গোলে জিতি এবং অপরাজিত চ্যাম্পিয়নও হই। একবার চিন্তা করুন ঘরোয়া ফুটবলে সেই উত্তেজনা যদি থাকতো তাহলে মোহামেডানের কি দশা হতো।
শিরোনাম
- ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
- হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
- রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
- হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
- জার্মানিকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি তৎপরতায় লিপ্ত ৮০ হাজার বিদেশীর ভিসা বাতিল
- ট্রাম্পের শুল্ক সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ শতাংশ
- ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
- রংপুর সদর আসনে বিএনপির সামু’র নির্বাচনী প্রচারণা
- বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা
- নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
- চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ
- আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২
- ‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
- শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
মোহামেডান কোয়ার্টার ফাইনালে নেই ভাবাই যায় না
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর