মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফিল্ডিং নিয়ে আক্ষেপ মুশফিকের

হায়দরাবাদ টেস্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইতিহাসটা লেখা হলো না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। নিজামের শহর হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সোনালি হরফে ইতিহাস লিখতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমরা। অথচ ইতিহাস লেখার সব রসদ টাইগারদের পকেটে ছিল। এজন্য দেখাতে হতো ধৈর্য। হতে হতো সহিষ্ণু এবং আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু কোনো কিছুরই বহিঃপ্রকাশ হয়নি। সময়ের প্রয়োজনে ও ইতিহাস লিখতে কিছুই করতে পারেননি মুশফিক, সাকিব, মাহমুদুল্লাহরা। পরিণতি যা হবার, তাই হলো। ২০৮ রানের বিশাল হার। ঐতিহাসিক টেস্টে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই টাইগারদের ফিরতে হচ্ছে দেশে। এই হারের জন্য ব্যাটিং ও বোলিংকে দোষারোপের খাতায় ফেলেননি টাইগার অধিনায়ক মুশফিক। সরাসরি আঙ্গুল তুলেছেন বাজে ফিল্ডিংয়ের দিকে। না তোলার কোনো কারণও নেই। নিজে যেমন দুই দুটি স্ট্যাম্পিং মিস করেছেন। তেমনি লোপ্পা লোপ্পা ক্যাচ  ফেলেছেন সাকিব, তামিম, সাব্বিররা। যার খেসারত গুনতে হয়েছে কষ্টের হারে।

প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৬৮৭। ছিল বিরাট কোহলির ২০৪, মুরলি বিজয় ১০৮ ও ঋদ্ধিমান সাহার ১০৬*।  মজার বিষয় তিনজনই জীবন পেয়েছেন একাধিকবার। কোহলি ব্যক্তিগত ১৬৫ রানে মুশফিকের সহজ স্ট্যাম্পিং থেকে বেঁচে যান। বিজয়ের যখন রান ৩৫, তখন সহজ রান আউট হতে বেঁচে যান। ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় ঋদ্ধিমানের স্ট্যাম্পিং মিস করেন মুশফিক। জীবন পাওয়া তিনজনই খেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ইনিংস। এই ভুলে ভরা  প্রথম ইনিংসই টেস্ট থেকে বাংলাদেশকে ছিটকে দিয়েছে, খেলা শেষে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ার কথা স্বীকার করেন মুশফিক, ‘আমি মনে করি প্রথম ইনিংসই দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।’ তিন সেঞ্চুরিতে ভারত পাহাড়সম স্কোর গড়ে। যদি স্কোরটা ৫৫০-৬০০’র মধ্যে বেঁধে রাখতে পারত, তাহলে হায়দাবাদের ঐতিহাসিক টেস্টের চিত্রটা অন্যরকম হতো মনে করেন টাইগার অধিনায়ক, ‘প্রথম ইনিংসে আমাদের বোলাররা বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে যদি ভারতকে ৫৫০-৬০০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারতাম, তাহলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য সুযোগগুলো কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।’

সর্বশেষ খবর