শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঘুরে দাঁড়ানোর যত রেকর্ড

রাশেদুর রহমান

ঘুরে দাঁড়ানোর যত রেকর্ড

আলীর সেই বিখ্যাত নকআউট পাঞ্চ

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ‘কামব্যাক’ ইতিহাস রচনা করেছে বার্সেলোনা। পিএসজির বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হেরে দ্বিতীয় লেগে ৬-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা বার্সেলোনা কি খেলাধুলার ইতিহাসেরই সেরা ‘কামব্যাক’ করেছে? ইতিহাসের পাতা খুঁজে দেখা যাক!

‘দি রাম্বল ইন দি জাঙ্গল’

বক্সিংয়ের ইতিহাসেই কেবল নয়, খেলাধুলার ইতিহাসের অন্যতম সেরা লড়াই হিসেবে জর্জ ফোরম্যান আর মোহাম্মদ আলীর লড়াইটা বিখ্যাত হয়ে আছে। জায়ারে অনুষ্ঠিত এ হেভিওয়েট লড়াইয়ে মোহাম্মদ আলী অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। ৬০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফোরম্যান কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন আলীকে। কিন্তু অষ্টম রাউন্ডে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ‘রোপ এ ডোপ’ পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে ‘নকআউট’ পাঞ্চ মেরে বসেন আলী। পুরো বিশ্বই সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিল। খেলাধুলার ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফাইটকেই ‘দি রাম্বল ইন দি জাঙ্গল’ বলা হয়।

‘দি মিরাকল অব ইস্তাম্বুল’

ওই রাতটাকে কোনো দিনই ভুলবে না লিভারপুলের ভক্তরা। রাফা বেনিতেজের দল ২০০৫ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে এক চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পরাজয়ের তিক্ততা হজম করছিল ভক্তরা। তবে স্টিভেন জেরার্ডরা সেদিন দ্বিতীয়ার্ধে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে এসেছিলেন ম্যাচে। ছয় মিনিটে তিন গোল করে ম্যাচটাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সমাধান হয়নি তখনো। টাইব্রেকারে জিতে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছিল লিভারপুল। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ‘কামব্যাক’ বলা হয় এই ম্যাচটাকে। এটাই ‘দি মিরাকল অব ইস্তাম্বুল’।

ফার্গুসন ম্যাজিক

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১৯৯৯ ফাইনাল। বার্সেলোনার ন্যু-ক্যাম্পে মুখোমুখি বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আলেক্স ফার্গুসনের ম্যানইউ তখন বিশ্বসেরা ক্লাবের স্বীকৃতি পেয়েছে। ন্যু-ক্যাম্পের দর্শকরা সেদিন অদ্ভুত এক ম্যাচই দেখেছিল। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই ব্যাসলারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। নির্ধারিত নব্বই মিনিট পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রেখেছিল জার্মানরা। তবে অতিরিক্ত মিনিটে দৃশ্যটাই বদলে দেয় ম্যানইউ। দুই বদলি ফুটবলার শেরিংহ্যাম এবং সোলসজার গোল করে ম্যানইউকে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিয়েছিলেন।

ইয়ান বোথামের অ্যাশেজ জয়

সময়টা ১৯৮১ সাল। অ্যাশেজ সিরিজে প্রথম দুই টেস্ট খেলে অস্ট্রেলিয়া ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। সিরিজটা নিজেদের করতে হলে পরের তিনটা টেস্টই জেতা প্রয়োজন ছিল ইংলিশদের। ইয়ান বোথামরা ঠিক সেই কাজটাই করলেন! তৃতীয় টেস্টে ফলোঅনে পড়েও ১৮ রানের জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট ইতিহাসে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসার ঘটনা অনেক আছে। তবে এটাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে ‘বোথামস অ্যাশেজ’ নাম দেওয়া হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর