বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

লুকাকু লুকিয়ে ছিলেন কোথায়?

ক্রীড়া ডেস্ক

লুকাকু লুকিয়ে ছিলেন কোথায়?

ম্যাচ শেষে হতাশায় কিছুক্ষণ আকাশের দিকে চেয়েছিলেন রোমেলু লুকাকু। এবার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছিলেন এই তরুণ তারকা। সেমিতেও জ্বলে উঠে দেশকে প্রথমবার ফাইনালে খেলাবেন এই প্রত্যাশা ফুটবল প্রেমীদের ছিল। কিন্তু হলো না স্বপ্ন পূরণ। তীরে এসে তরী ডুবে গেল বেলজিয়ামের। ১৯৮৬ সালেও বিশ্বকাপের শেষচারে খেলেছিল। ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার কাছে হেরে ফাইনালে খেলা হয়নি। ১৯৮৬ ও ২০১৮ ব্যবধান ৩২ বছর। দীর্ঘ সময়ে বেলজিয়ামের ফুটবল অনেক পাল্টে গেছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে। এবার শুরু থেকেই বেলজিয়ামদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। বিখ্যাত ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছিলেন বিশ্বকাপে এবার নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলতে পারে। আর এই সম্ভাবনা বেলজিয়ামেরই। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার জিকোতো বলেই দিয়েছিলেন, রাশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে বেলজিয়াম না খেললে তা হবে বড় অঘটন। গ্রুপ পর্বের টানা তিন ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে হ্যাজার্ড-লুকাকুরা। জাপানের বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ ২০ মিনিটে ৩ গোলে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায়। এরপর পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩২ বছর পর সেমিফাইনালে বেলজিয়াম। প্রতিটি ম্যাচেই লুকাকুর লড়াকু লড়াই প্রশংসিত হয়েছিল। সেই ডেঞ্জারম্যান কিনা সেমিফাইনালে ছিলেন একেবারে ম্লান। ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের ভিতর অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সারাক্ষণ নজরে ছিলেন তাও বলা যাবে না। তারপরও লুকাকু একবারও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারেননি। একটুও যদি মুভমেন্ট করতে পারতেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা চাপে থাকত। চার গোল দেওয়া দুরন্ত লুকাকুর কী হয়েছিল। কোথায় লুকয়ে ছিলেন তিনি? একজন খেলোয়াড় প্রতিদিন ভালো খেলবেন তা ভাবাটাও ঠিক হবে না। তাই বলে সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে লুকাকুকে খুঁজে পাওয়া যাবে না তা কি মানা যায়? যদিও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ ম্যাচ আছে লুকাকুর সামনে। কিন্তু ফাইনাল আর এই ম্যাচের তুলনা কি হয়?

সর্বশেষ খবর