শিলিগুড়িতে ২০১৬ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। গতবারের ভুল শোধরানোর সুযোগ এসেছিল এবার। প্রতিশোধ নিয়ে নিজেদের পুরনো ক্ষতটা শুকানোর সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না সাবিনারা। গতকাল নেপালের বিরাটনগরে শহীদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সেই পুরনো ক্ষতটাই তাজা করে দিল ভারত।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র সফলতা ছিল গত সাফে গোলশূন্য ড্র করা। এছাড়া প্রতিবারই হেরেছে লাল-সবুজের জার্সিধারী মেয়েরা। তবে গত সাফ থেকে প্রেরণা নিয়েই গতকাল সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাবিনারা। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। ভারতীয়দের কাউন্টার আক্রমণ আর নিখুঁত গোল শট রুখতে পারেননি আঁখি, শামসুন্নাহার আর রুপনা চাকমারা। মাঝ মাঠে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেননি মনিকা চাকমা আর মারিয়া মান্ডারা। তাছাড়া ভারতের ডিফেন্স লাইন ভেঙে বার বার প্রতিপক্ষের ডি বক্সে প্রবেশ করলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পাননি সানজিদা, স্বপ্না আর সাবিনারা। অন্যদিকে একের পর এক কাউন্টার আক্রমণ থেকে গোল করেছে ভারত।
ডালিমা চিব্বারের ১৭তম মিনিটের গোলেই এগিয়ে যায় ভারত। এরপর ইন্দুমতি ২৩ ও ৩৭ মিনিটে দুটি গোল করলে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের শেষদিকে মনীষা (৯২) একটা গোল করে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন। অন্যদিকে বার বার আক্রমণে গিয়েও গোলের দেখা পাননি সাবিনারা।
এদিকে গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক নেপালের মেয়েরা। আগামীকাল একই স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে নেপাল-ভারত। ২০১০ সালে শুরু হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় মেয়েরা (২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬)। এর মধ্যে একবার কেবল ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাকি তিনবারই ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল।