সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফাইনালের হার লজ্জাজনক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ইতিহাস গড়া হয়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ভারতের ছুড়ে দেওয়া ১০৭ রানের মামুলী টার্গেট টপকাতে পারেননি আকবর আলি, শামীম পাটোয়ারী, মৃত্যুঞ্জয়রা। মাত্র ৫ রানে হেরে যুব এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে পারেনি টাইগার যুবারা। কাছে এসে এমন কষ্টের হারে বিমর্ষ ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালি। হতাশ ক্রিকেটাররা। গতকাল কলম্বো থেকে ঢাকায় ফিরে দলের সেরা ফিল্ডার ও ব্যাটসম্যান শামীম জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা অবশ্যই কষ্টের। সুযোগ থাকার পরও ফাইনালে জিততে না পারাটা লজ্জাজনক বলেন ফাইনালে ৮ রানে ৩ উইকেট নেওয়া শামীম।   

১৯৮৯ সালে শুরু অনূর্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপ। ঢাকায় শুরু প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় সৌরভ গাঙ্গুলী, বিনোদ কাম্বলীর ভারত। এরপর টানা পাঁচ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০১৭ সালে হোচট খায়। প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আফগানিস্তান। এবার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশ যুবাদের। আসরের সবচেয়ে সফল দল ভারতকে ৩২.৪ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে রেখেও ৩৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায়। এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ শামীম।

হারকে লজ্জাজনক বলেন তিনি, ‘এমন হার কষ্টকর, বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিবারই আমরা ভারতের কাছে হেরে যাই। এটা আসলে খুবই লজ্জার বিষয়। খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা বারবার জেতা ম্যাচগুলো হারছি।’

আসরের গ্রুপপর্বে টাইগাররা হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। নিয়মানুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনাল খেলে। ফাইনালে বোলিং করতে নেমে মৃত্যুঞ্জয় ও শামীমের সাঁড়াশি আক্রমণে ১০৬ রানে মুখ থুবড়ে পরে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের যুবারা ১৭ ওভার হাতে রেখেই গুটিয়ে যায় ১০১ রানে। টাইগার যুবাদের বেধে ফেলেন বাঁ হাতি স্পিনার আনকোলেকার। ভারতের কাছে এই হারকে মানসিক বাধা টপকাতে না পারার উল্লেখ করেন শামীম, ‘বারবার জেতা ম্যাচগুলো আমরা হারছি। হয়তো হারের পেছনে মানসিক কিছু একটা কাজ করে ওই সময়। সব সময় আমাদের মনে হয়েছে আমরা ম্যাচগুলো ফিনিশিং করতে পারব। কিন্তু আসলে এটা আর হয় না। এটা আমরা এক্সিকিউট করতে পারি না।’ সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার পরও ভারতকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলেছেন শামীম, ‘সব সেক্টরেই ভারত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর