দিয়াগো ম্যারাডোনা বিখ্যাত ফুটবলার। ১৯৮৬ সালে তার নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে ম্যারাডোনার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। গোটা দুনিয়ায় তার যে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা তা কিন্তু হঠাৎ করে হয়নি। এর জন্য ম্যারাডোনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। খুদে থেকে হয়েছেন বিশ্ব তারকা। ১৯৭৯ সালে জাপানের টোকিওতে বসেছিল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আসর। ম্যারাডোনার নেতৃত্বেই সেই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা অংশ নেয় এবং চ্যাম্পিয়ন হয়। খুদে ম্যারাডোনার ম্যাজিকে সবাই মুগ্ধ হয়ে পড়েন। ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক হলেও ম্যারাডোনা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। কিন্তু ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা ফুটবল সম্রাট বনে যান। ম্যারাডোনার সঙ্গে যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলীর সঙ্গে কিছুটা হলেও তুলনা চলে। প্রথম নেতৃত্ব পেয়ে দেশকে এনে দেন প্রথম শিরোপা। সামনে জাতীয় দলে খেলবেন নিশ্চিতই বলা যায়। হয়তো ম্যারাডোনার মতো তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন মূল বিশ্বকাপ জিতবে এ প্রত্যাশা সবারই।
যাশাভি জয়সয়াল
যুব বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতীয় ওপেনার। ফাইনালে খেলেছেন ৮৮ রানের ইনিংস। আসরে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৪০০ রান করেছেন। সেঞ্চুরি ১টি ও হাফসেঞ্চুরি ৪টি।
ম্যাচ : ৪, রান : ৪০০, সর্বোচ্চ : ১০৫।
ইব্রাহিম জাদরান
আফগানিস্তানের তরুণ এই ক্রিকেটার দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন ৩টি। যুব বিশ্বকাপে তারকা হয়ে খেলতে নামেন। ৫ ম্যাচে সেঞ্চুরি না থাকলে হাফসেঞ্চুরি ৩টি।
ম্যাচ : ৫, রান : ২৪০, সর্বোচ্চ : ৮৭।
মাহমুদুল হাসান জয়
যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ী হয় তার ১০০ রানের নান্দনিক ইনিংসে।
ম্যাচ : ৬, রান : ১৮৪, সর্বোচ্চ : ১০০।
রবীন্দু রাসান্তা
স্কোয়াডে ঠাঁই পাওয়া একমাত্র শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। দ্বীপরাষ্ট্র সেমিফাইনাল খেলতে না পারলেও রাসান্তা আলোকিত ব্যাটিং করেন। সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি ১টি করে।
ম্যাচ : ৬, রান : ২৮৬, সর্বোচ্চ : ১০২*।
শাহাদাত হোসেন
শুধু ফাইনালে আউট হয়েছেন। ৬ ম্যাচের ৪ ইনিংসে রান করেছেন ১৩১ । গড় ১৩১। সেঞ্চুরি না থাকলেও হাফসেঞ্চুরি ১টি।
ম্যাচ : ৬, রান : ১৩১, সর্বোচ্চ : ৭৪*।
নিম ইয়াং
ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটার অলরাউন্ডার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন একাদশে। তার দল সেমিফাইনালে না উঠলেও পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। সেঞ্চুরি নেই হাফসেঞ্চুরি ২টি।
ম্যাচ : ৬, রান : ১৪০, সর্বোচ্চ : ৬৬।
রবি বিষ্ণুই
যুব বিশ্বকাপের আলোচিত লেগ স্পিনার। ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী বোলিং করেও জেতাতে পারেননি ভারতকে।
ম্যাচ : ৬, রান : ১৮১, উইকেট : ১৭, সেরা : ৪/৫।
শফিকুল্লাহ গাফফারি
আফগানিস্তানের তরুণ লেগস্পিনার শফিকুল্লাহ গাফফারি প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের যমদূত ছিলেন। তার দল ফাইনাল খেলতে না পারলেও বোলিংয়ে ঔজ্জ্বল্যতা ছড়িয়েছেন।
ম্যাচ : ৫, রান : ১১২, উইকেট : ১৬, সেরা : ৬/১৫।
জায়ডেন সিয়াসেল
স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া দ্বিতীয় ক্যারিবীয় ক্রিকেটার। এই পেসার গতির ঝড় তুলে
আলোচিত ছিলেন।
ম্যাচ : ৬, রান : ১৮৩, উইকেট : ১০, সেরা : ৪/১৯।
কার্তিক তাইগি
স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া ভারতের তৃতীয় ক্রিকেটার। এ পেসার প্রতি ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। ফাইনালে টাইগার যুবাদের বিপক্ষে সাফল্য না পেলেও সমীহ আদায় করে নেন।
ম্যাচ : ৬, রান : ১৫৩, উইকেট : ১১, সেরা : ৪/২৪