শনিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মাশরাফির পাশে মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাশরাফির পাশে মুশফিক

ওয়ানডে ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছাড়লেও অবসর নেননি। তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সুযোগ মেলেনি মাশরাফি বিন মর্তুজার। সুযোগ পেলে হয়তো রেকর্ড গড়া হতো না মুশফিকুর রহিমের। মাশরাফি নেই বলে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড এখন মুশফিকের। অবশ্য টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড এখনো মাশরাফি ও মুশফিকের। ২৫ জানুয়ারি এ রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করার সুবর্ণ সুযোগ থাকছে মুশফিকের। গতকাল পর্যন্ত দুই ক্রিকেটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ার ২২০ ম্যাচের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাশরাফিকে পেছনে ফেলেন মুশফিক। দেশের পক্ষে মাশরাফি ওয়ানডে খেলেছেন ২১৮টি। প্রথম ওয়ানডে খেলার আগেও মুশফিকের ম্যাচ ছিল ২১৮। দুই ওয়ানডে খেলে এখন ২২০। বাংলাদেশের পক্ষে যা সর্বোচ্চ। মাশরাফি অবশ্য টাইগারদের পক্ষ ছাড়া আরও দুটি ওয়ানডে খেলেছেন এশিয়া একাদশের পক্ষে আফ্রো-এশিয়া কাপে। সে হিসাবে তার ক্যারিয়ার ২২০ ম্যাচের। মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেক ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর ১৫ বছর ধরে খেলছেন লাল-সবুজ পতাকার হয়ে। গতকাল সিরিজ জয়ের ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। ২২০ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মুশফিকের রান ৬২০২। সেঞ্চুরি ৭ এবং হাফসেঞ্চুরি ৩৮টি। টাইগারদের হয়ে সব মিলিয়ে দুই শতাধিক ওয়ানডে খেলার রেকর্ড রয়েছে চারজনের। মুশফিক ও মাশরাফি ছাড়া বাকি দুজন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তামিম ২০৯ ম্যাচে ৭২৯৬ রান এবং সেঞ্চুরি দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ১৩টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৪৮টি। সাকিব ম্যাচ খেলেছেন ২০৮টি। রান করেছেন ৬৩৮৫। সেঞ্চুরি ৯, হাফসেঞ্চুরি ৪৭টি। জাতীয় দলে এমন খেলছেন, তাদের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ম্যাচ ১৯০টি। এ ছাড়া মোহাম্মদ আশরাফুল ১৭৫, আবদুর রাজ্জাক রাজ ১৫৩, খালেদ মাসুদ পাইলট ১২৬, মোহাম্মদ রফিক ১২৩ ও হাবিবুল বাশার খেলেছেন ১১১টি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর