শনিবার, ২৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
সিরিজ টাইগারদের

সিরিজ সেরা মুশফিক

শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ৯৭ রানে জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিরিজ সেরা মুশফিক

৮৪ ও ১২৫ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক বাজে শট খেলে সাজঘরে ফেরেন ২৮ রানে। দল জিততে না পারলেও সিরিজ সেরা হয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ৭৯ গড়ে ২৩৭ রান করে

 

দু-দুটি ক্যাচ মিস না হলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেন সাকিব আল হাসান! বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার গতকাল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডেতে নেমেছিলেন নতুন একটি রেকর্ড গড়ার হাতছানিতে। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না। তাই গড়া হয়নি রেকর্ড। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে পেছনে ফেলে দেশের সর্বাধিক উইকেট শিকারি হওয়া হয়নি তার। সাকিব না পারলেও একটি মাইলফলক গড়েছেন ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। দেশের ১৩ নম্বর বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক গড়েছেন। ৩৯ ম্যাচে তাসকিনের উইকেট ৫২টি। সর্বোচ্চ ২৬৯ উইকেট সাকিব ও মাশরাফির। এমন রেকর্ড গড়া না গড়ার ম্যাচটিতে আগের দুই ওয়ানডের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ৮৪ ও ১২৫ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক বাজে শট খেলে সাজঘরে ফেরেন ২৮ রানে। দল জিততে না পারলেও সিরিজ সেরা হয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ৭৯ গড়ে ২৩৭ রান করে।

 

প্রথম ওয়ানডেতে সামান্য এক ভুলে সেঞ্চুরি মিস করেন মুশফিক। সাজঘরে ফেরেন ৮৪ রানে। তবে দল জিতেছিল ৩৩ রানে। প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাটিং করেন অধিনায়ক তামিম ও মাহমুদুল্লাহ। বৃষ্টি¯œাত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একাই দলকে টানেন। চাপের মুখে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট চালিয়ে খেলেন ১২৫ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস। টানা দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে গতকাল খেলতে নেমে চাপের সঙ্গে পেড়ে ওঠেননি। শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ২৮৭ রানের টার্গেটে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। বৃষ্টিভাবাপন্ন আবহাওয়ায় লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে ধীরলয়ে ২৮ রান করেন ৫৪ বলে। ৫১.৮৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে ছিল না কোনো বাউন্ডারি। গতকাল আউট হয়েছেন অহেতুক ডাউন দ্য ট্রাক খেলতে এসে। অভিষিক্ত স্পিনার রমেশকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন।

মুশফিক কখনোই সৃজনশীল কিংবা শৈল্পিক ব্যাটসম্যান ছিলেন না। তার ব্যাটিং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো চোখ জুড়ানো নয়। কিন্তু দেশের যে কোনো ক্রিকেটারের তুলনায় চাপ সামলে ব্যাট করার ক্ষমতা অনেক বেশি। চাপের মুখে বহু ম্যাচ জেতানো মুশফিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৫ বছর ধরে খেলে যাচ্ছেন দাপটের সঙ্গে। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হলেও সব সময়ই পেছন পেছন হেঁটেছেন সাকিব ও তামিমের। মুশফিকের রান ২২৭ ম্যাচের ২১৩ ইনিংসে ৩৭.১৮ গড়ে ৬৫৮১। সেঞ্চুরি আটটি। যার তিনটিই মিরপুরে। তামিমের রান ২১৬ ম্যাচের ২১৪ ইনিংসে ৩৬.৭৫ গড়ে ৭৫৩৪। সেঞ্চুরি ১৩ ও হাফসেঞ্চুরি ৫১। মুশফিক হাফসেঞ্চুরি না পেলেও পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ইনিংসের শেষ ব্যাটসমান হিসেবে ৫৩ রানের একটি প্রত্যয়ী ইনিংস খেলেন। ৬৩ বলের ইনিংসটিতে ছিল দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। ১৯৭ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যা ২৬ নম্বর হাফসেঞ্চুরি।

তামিম বাহিনী প্রথম দুটি ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল আগেই। গতকালের ম্যাচটি ছিল হোয়াইটওয়াশের হাতছানি। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের বিপক্ষে পারেনি। শুরুতে তিনবার জীবন পাওয়া কুশল পেরেরার ১২০ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। তাসকিন আহেমদ ৪ উইকেট নেন ৪৬ রানের খরচে। ২৮৭ রানের টার্গেটে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তামিম বাহিনীকে গতি ও সুইংয়ে নাকাল করে ছাড়েন ম্যাচসেরা দুশমন্ত চামিরা ১৬ রানের খরচে ৫ উইকেট নিয়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর