ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো যুদ্ধ শুরু হচ্ছে আজ। ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। সিরিজের পরের তিন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে অডিলেড ওভাল, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। পঞ্চম টেস্টের ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি।
অ্যাশেজ সিরিজ প্রথমবার মাঠে গড়ায় ১৮৮২-৮৩ মৌসুমে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। কেবল প্রথমবারই নয়, ১৮৯০ সাল পর্যন্ত টানা আটটি সিরিজ জয় করে ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়া প্রথমবার অ্যাশেজ জয় করে ১৮৯১-৯২ মৌসুমে। তবে উনিশ শতকে ইংল্যান্ডের দাপট কমাতে পারেনি অসিরা। গত শতকের শেষ দিকে একক আধিপত্য বিস্তার করে তারা। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা আটটি অ্যাশেজ সিরিজ জয় করে অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য এরপর থেকে আর একক আধিপত্য দেখা যায়নি। কখনো ইংল্যান্ড কখনো অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছে।
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ৭২তম অ্যাশেজ সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে। এর আগে ৭১টি সিরিজে ৩৩বার বিজয়ী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড জয় করেছে ৩২টি সিরিজ। এছাড়াও ৬টি সিরিজে ড্র করেছে দুই দল। কী অপেক্ষা করছে ৭২তম সিরিজে? গতবার ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-২ ব্যবধানে অ্যাশেজ সিরিজ ড্র হয়েছে। এর আগেরবার ২০১৭-১৮ মৌসুমে নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। গত প্রায় চার বছর ধরেই অ্যাশেজ ট্রফি অস্ট্রেলিয়ার হাতে। এবারেও কী তারা ট্রফি নিজেদের কাছেই রেখে দিবে? নাকি ট্রফি পুনরুদ্ধার করবে ইংল্যান্ড? সিরিজের পরের চার টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৬-২০ ডিসেম্বর, ২৬-৩০ ডিসেম্বর, ৫-৯ জানুয়ারি ও ১৪-১৮ জানুয়ারি।পরিসংখ্যান
মোট সিরিজ : ৭১
অস্ট্রেলিয়ার জয় : ৩৩
ইংল্যান্ডের জয় : ৩২
দুই দলের ড্র : ৬
মোট টেস্ট ম্যাচ : ৩৩৫
অস্ট্রেলিয়ার জয় : ১৩৬
ইংল্যান্ডের জয় : ১০৮
দুই দলের ড্র : ৯১
দলীয় সর্বোচ্চ
ইংল্যান্ড : ৯০৩/৭ ডিক্লে.
অস্ট্রেলিয়া : ৭২৯/৬ ডিক্লে.
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ
হিউটন (ইংল্যান্ড) : ৩৬৪
ব্র্যাডম্যান (অস্ট্রেলিয়া) : ৩৩৪
ম্যাচে সেরা বোলিং
লেকার (ইংল্যান্ড) : ১৯/৯০
ম্যাসি (অস্ট্রেলিয়া) : ১৬/১৩৭