সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পেলে-ম্যারাডোনার বাংলাদেশ দেখা হলো না

ক্রীড়া ডেস্ক

দিয়েগো ম্যারাডোনার পর কিংবদন্তি পেলেও চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এই মানের ফুটবলারের আর কখনো দেখা মিলবে কি না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। পেলের জন্য বাংলাদেশে যেমন ব্রাজিলের সাপোর্টার রয়েছে। ম্যারাডোনার কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা পৃথিবীতে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়ার মতো। মৃত্যুর পরও ম্যারাডোনা জেগে আছেন সবার হৃদয়ে। বাংলাদেশ পেলে ও ম্যারাডোনার নাম বলতে অজ্ঞান। অথচ এ দুই কিংবদন্তিকে ঢাকা আনা সম্ভব হয়নি। কলকাতায় তাঁরা দুবার করে ঘুরে গেছেন। ১৯৭৭ সালে কলকাতায় পেলের নেতৃত্বে আমেরিকার কসমস ক্লাব মোহন বাগানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে যায়। ম্যারাডোনা আসেন ২০০৮ ও ২০১৭ সালে। সল্টনেক স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শক ম্যারাডোনাকে সামনে থেকে দেখেছেন। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে। এত কাছে ঘুরে গেলেও আফসোস পেলে ও ম্যারাডোনাকে বাংলাদেশে আনা গেল না। দুজনায় চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

সাংগঠনিকভাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কতটা যে দুর্বল এতেই প্রমাণ মেলে। কর্মকর্তারা যে অহংকার নিয়ে কথা বলেন তাতে মনে হয় ল্যাটিন ও ইউরোপ কত কাছের। তাহলে কি পেলে বা ম্যারাডোনাকে আনতে যাদের সঙ্গে আলোচনা করা যেত, সেই এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলার যোগ্যতা ছিল না বাফুফে কর্মকর্তাদের। কলকাতা পারলে ঢাকা কেন পারল না।

এ প্রসঙ্গ উঠলেই অর্থের কথা তুলবেন কর্মকর্তারা। কিন্তু যেখানে যোগাযোগই করতে পারেননি এর পর তো আর অজুহাত দাঁড় করানোটা হাস্যকর হবে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ এলেই শোনা যেত ভিআইপি গেস্ট হিসেবে ম্যারাডোনাকে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাস্তবে আদৌ কি তা করা হয়েছে? প্রতিশ্রুতি দিয়েই শেষ। বাফুফের অযোগ্যতা ও দুর্বল সাংগঠনিক ক্ষমতার কারণে ম্যারাডোনাকে আর ঢাকায় দেখা হলো না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

ম্যারাডোনার সফর নিয়ে বাফুফে মাঝে-মধ্যে মুখ খুলেছিল ঠিকই। কিন্তু পেলের ব্যাপারে কখনো কোনো কথা শোনা যায়নি। তাঁর মৃত্যুর পরই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বললেন, পেলেকে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা ছিল। এ নিয়ে নাকি পেলের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে এতদিন কেন এ কথা বলেননি বাফুফে সভাপতি। বিদেশে গেলে তিনি কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললেই গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। পেলের সঙ্গে কথা বলেছেন তা কেন পাঠানো হয়নি।

সর্বশেষ খবর