রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাকিবের আবারও ক্যাপ্টেনস নক

রাশেদুর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে

সাকিবের আবারও ক্যাপ্টেনস নক

মাঝে মধ্যেই তার বিস্ফোরক মন্তব্যে ক্রিকেট পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে নানা কা  করে জরিমানা গুনতে হয় তাকে। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে শুরু করলেই অন্যসব অনেক দূরে চলে যায়। ধ্যানমগ্ন ঋষির মতো ক্রিকেট খেলতে শুরু করলে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক সাকিব আল হাসানকে দেখা যায়। ব্যাটিংয়ে, বোলিংয়ে এবং ফিল্ডিংয়ে তিনি ডুবে যান। ম্যাচের নানা মুহূর্ত বিশ্লেষণ করে সতীর্থদের কাছ থেকেও সেরাটা বের করে আনেন। চলমান বিপিএলে সাকিব আল হাসানের দুরন্ত রূপই দেখা যাচ্ছে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ফরচুন বরিশালকে নিয়ে ছুটছেন তিনি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। গতকাল সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১২ রানে হারায় ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল করে ১৭৭ রান। জবাবে ১৬৫ রানে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস।

সাকিব আল হাসান বিপিএলের চলতি আসরে চারটা ম্যাচ খেলেছেন। প্রথম ম্যাচে ৬৭ রান করেছেন সিলেট স্ট্রাইকারসের বিপক্ষে। পরের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি তাকে। বল হাতে নেন ১৯ রানে ১ উইকেট। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২৭ রানে ১ উইকেট নেন। ব্যাট হাতে করেন ৮ রান। গতকাল ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত খেললেন তিনি। মাত্র ৪৫ বলে করেন ৮১ রান। ৪টি ছক্কা ও ৮টি চারের মার ছিল সাকিবের ইনিংসে। বিপিএল দেখতে আসা দর্শকরা অধিনায়কের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তার ঝড়ো গতির এই ইনিংসেই ফরচুন বরিশাল ১৭৭ রানের সংগ্রহ গড়ে। টি-২০ ক্রিকেটে ১৭৭ রান টপকে জয় পাওয়া সহজ নয়। তবে একেবারে কঠিনও নয়। কিন্তু সাকিব আল হাসানের মতো কৃপণ বোলার থাকলে কঠিন বটে। তিন ওভার বোলিং করে তিনি কেবল ১১ রান দিয়ে শিকার করেন ১টি উইকেট। ফিল্ডিংও করেছেন দারুণ। বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকটি চার বাঁচিয়েছেন সাকিব। সবমিলিয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জয় করেন তিনি।

সাকিব ছাড়া গতকাল ব্যাট হাতে বরিশালের পক্ষে খুব বড় কোনো স্কোর করতে পারেননি কেউই। তবে সবাই অল্প বলে বেশি রান করার চেষ্টা করেছেন। স্ট্রাইকরেটটা বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সাকিবের পর বরিশালের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ইব্রাহিম জাডরানের (২০ বলে ২৭ রান)। তানভির ইসলাম কুমিল্লার পক্ষে চারটি উইকেট শিকার করেও পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে পারলেন না। জবাব দিতে নেমে রানের গতি ঠিক রেখেই ছুটছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে তারা। শেষদিকে টেল এন্ডারদের নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন খুশদিল শাহ (২৭ বলে ৪৩ রান)। তবে ১২ রান আগেই তাদেরকে থামতে হয়।

তিন ম্যাচ খেলেও জয়ের দেখা নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। রংপুর রাইডার্সের কাছে ৩৪ রানে, সিলেট স্ট্রাইকারসের কাছে ৫ উইকেটে এবং গতকাল ফরচুন বরিশালের কাছে ১২ রানে পরাজিত হলেন ইমরুল কায়েসরা। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দলে নিয়েও গতকাল পারল না কুমিল্লা। রিজওয়ান করেন ১১ বলে ১৮ রান। শেষদিকে খুশদিল শাহ ২৭ বলে ৪৩ রান করেন। তার ব্যাটে এবারের বিপিএলে প্রথম জয়ের আশা কিছুটা হলেও জেগেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তবে শেষদিকের চাপটা আর সামলাতে পারেননি খুশদিল শাহ। ১২ রানের পরাজয় সঙ্গী হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।

সর্বশেষ খবর