সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পেশাদার লিগে হচ্ছেটা কী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ফিফা আমাদের নির্বাহী কমিটির সংখ্যা কমিয়ে আনতে তাগাদা দিয়েছে। ফিফা কী কারণে এ নির্দেশনা দিয়েছে তা আর ব্যাখ্যা দেননি সভাপতি। তবে দেশের ফুটবলপ্রেমীরাও লম্বা কমিটির কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। সাবেক ফুটবলার ও বিশ্লেষক গোলাম সারোয়ার টিপু বলেছেন, ‘২১ কেন নির্বাহী কমিটির সংখ্যা আরও বড় হলেও আপত্তি ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে এ ২১ জনই কি ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছেন কি না। আমার কথা হয় তো কারোর খারাপ লাগতে পারে। তারপরও বলছি দেশে ফুটবল যেভাবে চলছে তাতে ৫/৬ জনের কমিটিই যথেষ্ট। যদিও তা ফিফা নিয়মের মধ্যে নেই। কিন্তু ফুটবলের যে রুগ্ন দশা তাতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের কথা চিন্তা করে এমন মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম। বলতে পারেন এ আমার ক্ষোভও।’

টিপুর যে ক্ষোভ তা সাধারণ দর্শকদের মধ্যেও বিরাজ করছে। কারণ বাফুফের তেমন কর্মকা  তো চোখেই পড়ছে না। একমাত্র আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপও অনিয়মিত। তারপর আবার চ্যাম্পিয়নের প্রাইজমানি নিয়েও বিতর্ক উঠেছিল। জাতির জনকের নামে টুর্নামেন্ট অথচ তা নিয়েও চলছে ছেলেখেলা। কর্মকা  যখন শূন্যই বলা যায় তাহলে লম্বা কমিটির দরকার কি? তবে চোখে পড়ার মতো কাজ যে নেই তা বলা যাবে না। কোনো টুর্নামেন্টে পুরস্কারের মঞ্চে ছবি তোলার জন্য কর্মকর্তারা যে হুমড়ি খেয়ে পড়েন তাতে খেলোয়াড়দের দেখা যায় না। এটাই কর্মকর্তাদের একমাত্র প্রাপ্তি।

যাক বাফুফেকে অন্তত ধন্যবাদ দেওয়া যায় ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ আসর পেশাদার লিগ নিয়মিত মাঠে গড়াচ্ছে। সঙ্গে ফেডারেশনকাপও। তারপরও বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে রেফারিং নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। অনেকে বলেন, জাতীয় দলের ব্যর্থতার পেছনে দেশের রেফারিদেরও দায়ী করা যায়। কারণ তারা ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। খেলোয়াড়রা তাই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফ্রি স্টাইলে খেলতে গিয়ে কার্ড দেখছেন। ফুটবলের কার্ড মানেই তো হলুদ ও লাল রংয়ের। কার্ড দেখানোটা অবশ্যই ম্যাচের অংশ। কিন্তু তা যদি বির্তকে রূপ নেয় তাতে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে ওপরের নির্দেশনায় রেফারি কি কোনো দলের সাফল্য ঠেকাতে খুশিমতো কার্ড শো করছেন। দেখা যাচ্ছে এক ক্লাবের কর্মকর্তা রেফারির সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হওয়ায় রাগে সাইড লাইনে চেয়ার ভাঙচুর করার পরও তাঁকে কার্ড দেখানো হলো না।

অথচ কেউ সামান্য কথা বলাতেই হলুদ তো বটেই লাল কার্ড দেখছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে পেশাদার লিগে হচ্ছে টা কি?

শক্তিশালী দল গড়লেই সাফল্য আসবে তা ঠিক নয়। কিন্তু কারোর সাফল্য ঠেকাতে রেফারিকে ব্যবহার করলে তখন তো তাকে আর ফুটবল বলা যাবে না। এবার লিগে কেউ ৮ বা ৭ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। শিরোপা কারোরই নিশ্চিত নয়। অথচ এখুনি কোনো দলের ধারাবাহিকতা নষ্ট করতে সেই দলের খেলোয়াড়দের কার্ড দেখানো হচ্ছে। সাফল্য পেতে যদি সহযোগিতা নেওয়া হয় তা হলে আর মাঠ কেন টেবিলে বসেই কাউকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হোক। বিশ্বকাপেও রেফারিররা ভুল করেন। কিন্তু পেশাদার লিগে যা হচ্ছে তাকে কি বলা যায়(!) তা শুধু বাফুফেই বলতে পারে। কেউ চায় না দেশের ফুটবলের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক। তা না হলে কয়েকটি কার্ড প্রদর্শনের ভিডিও ফুটেজ যদি ফিফা দফতরে পাঠানো হয় তখন পরিস্থিতিটা কোন দিকে মোড় নেবে?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর