শিরোনাম
সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বছরের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তামিমের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বছরের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তামিমের

টার্গেট ছিল ৫ উইকেট শিকার। সেটা হয়নি। কিন্তু ম্যাচ জেতানো বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেমসফোর্ডে গতকাল সিরিজে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কাটার মাস্টারের স্পেল ছিল ১০-১-৪৪-৪। বাংলাদেশকে ৫ রানের নাটকীয় জয় উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুস্তাফিজ ছবি : সংগৃহীত

চেমসফোর্ডে ওভারপ্রতি ৭ রানের ওপর তাড়া করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য জয় পায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর গল্প লেখা ওই ম্যাচে টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট হাসেনি। ১৩ বলের মুখোমুখিতে রান করেছিলেন মাত্র ৭। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া প্রথম ওয়ানডেতে রান করেছিলেন মাত্র ১৪। বিশ্বকাপের বছর। নেই কোনো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। দল পরিচালনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু তার পারফরম্যান্স দিন দিন হয়ে পড়ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সমালোচকরা ফর্ম নিয়ে সমালোচনা করছিলেন। টাইগার অধিনায়ক সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামাননি। নিজের কাজ করে যাচ্ছিলেন মন নিয়ে। গতকাল সেই সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিয়েছেন চওড়া ব্যাটিংয়ে। দেখেশুনে একটু ধীরলয়ে ব্যাটিং করেছেন। তবে ২৪০ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৬ নম্বর হাফসেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। ৮২ বলে ৬ চারে ৬৯ রান করেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের ৫৬ নম্বর হলেও চলতি বছরে এটা তামিমের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে চলতি বছরের ৯ ম্যাচে প্রথম। অধিনায়ক হাফসেঞ্চুরি করে জবাব দিয়েছেন সমালোচকদের। ৫ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেছেন বর্ষীয়ান ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন গত ম্যাচের নায়ক নাজমুল শান্ত। ৩২ বলে ৩৫ রান করেছেন ৭ চারে। তামিমের বছরের প্রথম হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ২৭৪ রান করলেও অলআউট হয়ে যায় ৭ বল হাতে রেখে।

প্রথম ওয়ানডে ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ওয়ানডেও বাধাগ্রস্ত হয়। গতকাল বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি। যদিও ম্যাচটিতে টস হেরে যায় টাইগাররা। ম্যাচে অভিষেক হয় রনি তালুকদার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ১৪২ ও ১৪১ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে। রনি ওপেনার এবং মৃত্যুঞ্জয় অলরাউন্ডার। রনি ব্যাটিংয়ে ৪ রান করেন এক বাউন্ডারিতে এবং মৃত্যুঞ্জয় ৮ রান করেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলে ব্যথা পান। ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে যান। না খেললেও গতকাল তিনি অভিষেকের ক্যাপ পরিয়ে দেন রনি ও মৃত্যুঞ্জয়কে। দ্বিতীয় ওয়ানডে একাদশে পরিবর্তন আসে তিনটি। সাকিবের ব্যাটিং অভাব পূরণ করতে তার জায়গায় অভিষেক হয় রনির। তার বোলিং অভাবের সমাধানে অভিষেক হয় মৃত্যুঞ্জয়ের। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামের জায়গায় খেলানো হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে। গত ওয়ানডেতে শরীফুল ২ উইকেট পেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ৯ ওভারে বেশ রান দিয়েছিলেন। ওভারপ্রতি ৯ রানের ওপর। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট সিরিজ জয়ের ম্যাচে আস্থা রাখেনি শরীফুলের ওপর।

রনির অভিষেক হওয়ায় লিটনের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসে। সাকিবের ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করেন লিটন। ৩৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন ড্যাসিং ক্রিকেটার। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত প্রথম ম্যাচে শূন্য ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২১ রান করেছিলেন লিটন। শান্ত ৩২ বলে ৩৫ রান করেন ৭ চারে। আগের ম্যাচে ১১৭ রান করেছিলেন ৯৩ বলে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৮ বলে ৬৮ রান করেছিলেন তৌহিদ হৃদয়। গতকাল ১৩ রান করেন ১৬ বলে। তামিম গতকাল ধীরলয়ে ব্যাটিং করেন। বলের চেয়ে ধীরে রান করেন। ৬৯ রানের ইনিংস খেলতে বল খরচ করেন ৮২। বাউন্ডারি মারেন ৬টি। তিনি সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের ৭ আগস্ট। জিম্বাবুয়ের হারারেতে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন ৪৫ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায়। গতকালের আগে পর্যন্ত চলতি বছরের ম্যাচগুলোতে তার ইনিংস ৭, ১৪, ৪১*, ২৩, ৩, ১১, ৩৫ ও ২৩।

সর্বশেষ খবর