পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে টেস্টে জেতাটাই বড় ব্যাপার। সেখানে কি না তাদেরই মাটিতে হোয়াটওয়াশ করে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। যা ক্রিকেট ইতিহাসে বড় প্রাপ্তি বললেও ভুল হবে না। গত বছর আগস্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচে প্রথম ১০ ও দ্বিতীয়টি জিতেছিল ৬ উইকেটে। এক বছর না যেতেই এমন তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আগামীকালই মাঠে নামছে টাইগাররা। তবে ফরম্যাট ভিন্ন ২৮, ৩০ মে ও ১ জুন তিনটি তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে লিটনের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ। অনেকে বলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জেতাটায় কষ্টদায়ক। টি-২০ ততটা কঠিন নয়।
ফরম্যাট টি-২০ বলেই তো যত ভয়। কেননা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামছে বড় লজ্জা নিয়ে। আরব আমিরাতের মতো দুর্বল দলের কাছে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হেরে। তিন ম্যাচই হবে লাহোরে। যেখানে টি-২০তে অতীত রেকর্ড মোটেই সুখকর নয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত টি-২০ তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরে যায় ০-২ ব্যবধানে। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজ খেলবে লাহোরে। দুই দেশ ১৯টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। বাংলাদেশ যেখানে হেরেছে ১৬টি ম্যাচ। আর জয় তিনটি।
এমন পরিসংখ্যানই বলে দেয় ঘরের মাটিতে পাকিস্তানই ফেবারিট থাকবে। ক্রিকেট এমন এক খেলা যেখানে আবার পরিসংখ্যান ভয়ের কারণ হতে পারে না। তা ছাড়া দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে চীনের হ্যাংঝুঙয়ে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ।
আমিরাতের কাছে সিরিজ হার লজ্জা হলেও এর প্রভাব লাহোরে পড়বে এমন কথা নেই। সেরাটা দিয়ে খেলতে পারলেই অসম্ভবকে সম্ভবে রূপান্তরিত করা যায়। লিটনদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে সমান পারদর্শিতার ছাপ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে এ সিরিজের দিকে তাকিয়ে থাকবে দেশ। ক্রিকেটে বাংলাদেশ যতটা পিছু হটেছে। সিরিজে ভালো করলেই আগের অবস্থানে ফিরবে বাংলাদেশ।