বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের ডেটাবেজের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যেখানে ব্যাটসম্যান-বোলার থেকে শুরু করে প্রতিটি খেলোয়াড়ের তথ্য থাকবে। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ২৫ বছর (রজতজয়ন্তী) উপলক্ষে গতকাল বরিশাল জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, জেলার কোচরা প্রতিটি উপজেলার খেলোয়াড়দের চিনবে, কতজন লেগ স্পিনার রয়েছে, কতজন পেসার রয়েছে, কতজন ব্যাটসম্যান রয়েছে তা তারা জানবে। জেলা কোচ সবকিছু বিভাগের কাছে রিপোর্ট করবে যে, তার কোন উপজেলাতে কতজন ক্রিকেটার খেলছে। আর সব জেলা মিলিয়ে যখন একটি শক্তিশালী বিভাগীয় দল হবে, তখন আর কাউকে ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। আমরা চাই বরিশালের প্রতিটি খেলোয়াড় এ জেলার সিস্টেমের মাধ্যমে বরিশালকে রিপ্রেজেন্টেশন করুক।
তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ের হেড কোয়ার্টারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ছোট একটি অফিস থাকবে। যেখানে একজন ক্রিকেটের প্রধান এবং তার অধীনে একজন হাই পারফরম্যান্স কোচ থাকবেন। এখানে যত ধরনের ক্রিকেট হবে সব তার তত্ত্বাবধায়নে হবে। তবে আমরা নরমাল ক্রিকেট গ্রোথকে ডিস্টার্ব করব না। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমার ২৯ দিন হয়েছে ক্রিকেট বোর্ডে এসেছি। এখনই আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না। তবে এখানে বিপিএল হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এ স্টেডিয়ামের গ্যালারি ফুল হয়ে যাবে এটা বলতে পারি। আর এজন্য আমি ক্রিকেট বোর্ডকে স্ট্রংলি বলতে পারব। এ মাঠ উন্নয়ন করে বরিশালকে কীভাবে আরও অ্যাকটিভ ক্রিকেট বিভাগ হিসেবে পরিচালনা করতে পারি সেজন্য খুব চেষ্টা করছি আমরা।
১০-১৫ বছর বরিশালে লিগ হচ্ছে না, এজন্য আক্ষেপ প্রকাশ করে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, লিগ না হলে একটি ছেলের সঙ্গে আপনি অবিচার করছেন। সোহাগ গাজী, কামরুলসহ এখানকার প্লেয়ারদের নিয়ে আমরা গর্ব করি। কিন্তু খেলা না হওয়ার কারণে কত হাজার ক্রিকেটার নষ্ট করে ফেলেছি সেটা ভেবে আমরা লজ্জা পাই না! এখানে ক্রিকেট কোচিং কোর্স, আম্পায়ারিং কোচিং কোর্স, কিউরেটর কোচিং কোর্স হয় না। তবে ছোট ক্রিকেট বোর্ডের যে অফিস হবে এখানে, সেটার মাধ্যমে এ কাজগুলো ইনশাআল্লাহ করা হবে। এজন্য বরিশালবাসীর সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বরিশাল কবি জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের পাশাপাশি বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মেহেরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার নাফিস, সোহাগ গাজীসহ জেলা ও মহানগর ক্রীড়া সংস্থার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনূর্ধ্ব ১২ বালক-বালিকাদের সিক্স-এ সাইড, পেস হান্টার, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা হয়। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্রিকেট অনুরাগী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিকালে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।