এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল লাওসের ভিয়েনতিয়েন শহরের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই দুরন্ত ফুটবল খেলা উপহার দেন আফঈদা খন্দকাররা। একের পর এক আক্রমণে তছনছ করে দেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্স লাইন। গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করেন। তিনটি গোল করলেও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় মেয়েরা। তবে শেষ পর্যন্ত কাক্সিক্ষত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শান্তি কর্নার কিক নেন ডান পাশ থেকে। ছোট ডি বক্সের ভিতর থেকে হেডে বল জালে জড়ান সাগরিকা। প্রথমার্ধে আরও অন্তত দুটি গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। গোলবারে লেগে বল ফিরে এলে হতাশ হতে হয় সমর্থকদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশের মেয়েরা। ৫৮ মিনিটে তৃষ্ণার পাস ধরে বল নিয়ে কিছুটা এগিয়ে ডি বক্সের ভিতর থেকে গোল করেন মুনকি আক্তার। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে লাওসের আনা কিউ ওনসি গোল করে ব্যবধান কমালেও বাংলাদেশের জয় আটকাতে পারেননি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে সাগরিকা আরও একটি গোল করেন ডি বক্সের ভিতর থেকে। তার ডাবলে দারুণ এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা।
মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের গত আসর হয় ২০২৪ সালে। ২০২৩ সালে বাছাই পর্বে খেলতে নেমে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। আকলিমা খাতুন ও স্বপ্না রানী দুটি করে গোল করেন সেই ম্যাচে। তবে পরের ম্যাচে ইরানের কাছে হেরে বাছাই পর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। চলতি আসরে দারুণ সুযোগ অপেক্ষা করছে মেয়েদের সামনে। প্রথম ম্যাচেই দারুণ জয় পেয়েছেন আফঈদা খন্দকাররা। তবে এইচ গ্রুপের বাধা পাড়ি দেওয়া সহজ হবে না। এই গ্রুপে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল তারা ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তিমুর লিস্টের মেয়েদের। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তিমুর লিস্টে আছে ১৫৮ নম্বরে। এ দলের বিপক্ষে কাল খেলতে নামবেন আফঈদারা। দক্ষিণ কোরিয়া ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২১ নম্বরে আছে। গতবার অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে সেমিফাইনাল খেলা এই দলের বিপক্ষে ১০ আগস্ট মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা।