বোলারদের এনে দেওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন ব্যাটাররা। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে পারল না বাংলাদেশ। গতকাল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সুপারফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হেরে গেছেন টাইগাররা। পাকিস্তানের ১৩৫ রানের বিপরীতে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১২৪ রানে।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক জাকের আলি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ঠিক প্রমাণ করেন তাসকিন আহমেদরা। ভারত ম্যাচে অনুপস্থিত তাসকিন দলে ফিরেই ম্যাজিক দেখান। প্রথম ওভারেই শিকার করেন পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদার উইকেট। ৪ বলে ৪ রান করে রিশাদকে ক্যাচ দিয়ে উইকেট ছাড়েন তিনি। এ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়েই সেঞ্চুরি পূরণ করেন তাসকিন আহমেদ। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ১০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক পেরিয়েছেন তাসকিন। এর আগে বাংলাদেশের দুজন এই মাইলফলক পাড়ি দিয়েছেন। মুস্তাফিজুর রহমান (১৫১ উইকেট) ও সাকিব আল হাসান (১৪৯ উইকেট)। তাসকিন গতকাল ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ১০২ উইকেট শিকার করলেন তিনি। গতকাল বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন রিশাদ হোসেন। তিনি ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন। রিশাদের আঘাতে উইকেট ছেড়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান ও হুসেইন তালাত। দুটি উইকেট শিকারের পাশাপাশি দুটি ক্যাচও লুফে নেন রিশাদ। পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলি আগার উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৩ রান দেন। শেখ মেহেদী ২ ওভারে ২৮ রানে শিকার করেন দুই উইকেট। সাইম আয়ুবকে শূন্য রানে এবং মোহাম্মদ হারিসকে ৩১ রানে শিকার করেন শেখ মেহেদী। নওয়াজ ২৫, শাহিন আফ্রিদি ১৯ ও ফাহিম আশরাফ ১৪ রান করেন পাকিস্তানের পক্ষে। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। ওপেনার পারভেজ ইমন শূন্য রানে আউট হন। শাহিন আফ্রিদির বলে মোহাম্মদ নওয়াজকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর তাওহিদ হৃদয় ১০ বলে ৫ রান করে শাহিনের বলে সাইম আয়ুবকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। সাইফ হাসানকে ১৮ রানে শিকার করেন হারিস রউফ। এরপর বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। শেখ মেহেদী ১২ বলে ১১ রান করে নওয়াজের বলে তালাতকে ক্যাচ দিলে টাইগারদের সামনে লড়াই আরও কঠিন হয়ে ওঠে। নুরুল হাসান সোহান ও শামীম চাপ সামলে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সোহানও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ২১ বলে ১৬ রান করে উইকেট ছাড়েন। সাইম আয়ুব তার উইকেটটা শিকার করেন। অধিনায়ক জাকের আলি ৯ বলে ৫ রান করে সাইম আয়ুবের বলে নওয়াজকে ক্যাচ দিয়ে উইকেট ছাড়েন। শামীম হয়ে ওঠেন আশার প্রদীপ। তবে তিনিও ২৫ বলে ৩০ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে তালাতকে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। শাহিন ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। হারিস রউফ ৩৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।
এশিয়া কাপে তিনবার ফাইনাল খেলে টাইগাররা। ২০১২ সালে ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হারে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ফাইনাল খেললেও দুবারই ভারতের কাছে হেরে যায় টাইগাররা।