তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে নেত্রকোনায় ‘জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর মাঠে খেলতে পেরে খেলোয়াড় ও ক্রীড়ামোদী দর্শকেরা উৎফুল্ল। বুধবার বিকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নেত্রকোনা শহরের সাতপাই আধুনিক স্টেডিয়াম মাঠে নেত্রকোনা বনাম টাঙ্গাইল জেলা ফুটবল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। ৪-১ গোলে টাঙ্গাইল জেলাকে হারিয়ে বিজয়ী হয় নেত্রকোনা। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে।
খেলার প্রথমার্ধেই ১০ মিনিটের সময় নেত্রকোনা একটি গোল করে টিমকে এগিয়ে নেয় রাসেল। পরবর্তীতে আরও একটি গোল করেন তিনি। এ ছাড়াও একটি করে আরও দুটি গোল করেন বিজয় ও কামরুল। অন্যদিকে নেত্রকোনার বিপরীতে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে শেষের দিকে গিয়ে একটি গোল করেন টাঙ্গাইল জেলা। মোট ৬৪টি জেলার ৩২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্টে। এভাবে খেলা চলবে প্রতিটি জেলায়। এতে করে যেমন নতুন খেলোয়াড় তৈরি হবে তেমনি সুস্থ সুন্দর জাতি গঠন হবে। সামাজিকভাবে তরুণরা অপরাধ থেকে সরে আসবে। খেলোয়াড়রাও চান প্রতি বছর যেন লিগ অনুষ্ঠিত হয়। তাহলে বেরিয়ে আসবে খেলোয়াড়। একদিন দেশ এবং আন্তর্জাতিক মহলে ভূমিকা রাখবে। বিজয়ী নেত্রকোনা টিমের অধিনায়ক আবদুল আওয়াল বলেন, গত ২০১৯ সালে খেলেছিলেন। এরপর কোনো খেলা নেই। যে কারণে খেলোয়াড়ও নেই। আগে যারা খেলেছে তারাই এখন খেলতে হচ্ছে। ফলে নেত্রকোনা ফুটবলের আঁতুড়ঘর হলেও এখন আর কোথাও গিয়ে জিতে আসতে পারে না। গোলকিপার হাসিবুর রহমানও বলেন, নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতে প্রতি বছর লিগ দিতে হবে।
পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, খেলায় ভ্রাতৃত্ববোধ গঠন হয়। শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা আসে। এতে করে অপরাধ কমে যায়। তরুণরা খেলার প্রতি আকৃষ্ট হলে মাদক থেকেও দূরে থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে এ চ্যাম্পিয়নশিপ নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি করবে। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে আবারও ফুটবলের জনপ্রিয়তা ফিরে আসবে।