বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের সঙ্গে নবাগত আফগানিস্তানের ম্যাচ। একপেশেই হওয়ার কথা। তাই টস জিতে আফগানিস্তান প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার পরও কারো অবাক লাগেনি। একের পর এক ছক্কা চারের ফুলঝুড়িতে রান বন্যা বয়ে যাবে! কিন্তু কোথায় সেই রান বন্যা! পুরো ইনিংস মিলে ছক্কা হলো মাত্র ৫টি। যার মধ্যে তিনটিই এসেছে ওমর আকমলের ব্যাট থেকে। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অপরাজিত সেঞ্চুরিতেই শেষ পর্যন্ত ২৪৮ রান করে পাকিস্তান।
দলের মহা বিপর্যয়ের সময় আকমল একপ্রান্ত আগলে রেখে যেভাবে সতর্কভাবে ব্যাট চালিয়েছেন তা সত্যিই অসাধারণ। শেষ দিকে ঝড় তুলে রানের গতিকেও বাড়িয়ে নিয়েছেন। ৮৯ বলে করেছেন ১০২ রান। ৭টি বাউন্ডারি ছাড়াও তিনটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার আহমেদ শেহজাদও। ওমর আকমল তার সেঞ্চুরিটি উৎসর্গ করেছেন তার স্ত্রীকে।
কাল পাকিস্তানের শুরুটা কিন্তু খারাপ ছিল না। রান তোলার গতি খানিকটা মন্থর হলেও দুই ওপেনার শারজিল খান ও আহমেদ শেহজাদের ব্যাটিংও ইঙ্গিত দিচ্ছিল বড় স্কোরের। কিন্তু ৫৫ রানে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট পতনের পর খেলার গতি পাল্টে যায়। ১১৭ রানের মধ্যে পাকিস্তানের ছয়জন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে যেন ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দেয় আফগানরা। তখন মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের দেড়শ রানই হবে না। কিন্তু এই বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে পাকিস্তানকে টেনে তোলেন ওমর আকমল। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৪৮ রান করে পাকিস্তান।
আফগান বোলার দৌলত জর্দানের করা শেষ ওভার থেকে ১৭ রান নেন আকমল। এই ওভারের পঞ্চম বলে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরিও পূরণ করে ফেলেন পাকিস্তান তারকা। ওয়ানডেতে ওমর আকমলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। দলের বিপদের সময় এমন এক সেঞ্চুরি করতে পেরে দারুণ খুশি তিনি। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, 'দলের বিপদের সময় চাপের মধ্যে এমন একটি ইনিংস খেলতে পেরে ভালোই লাগছে। ধন্যবাদ কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। তারা আমার ওপর ভরসা না করলে তো আমি খেলতে পারতাম। মঈন (কোচ) সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলতেন, আমার সামর্থ্য আছে। চেষ্টা করলেই আমি বড় ইনিংস খেলতে পারব। এটি আমার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। আজকের সেঞ্চুরিটি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করলাম।'