ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্য ২৩ সদস্যের পর্তুগিজ স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন পাওলো বেন্টো। রোনালদোর নেতৃত্বে এই দলে স্থান পেয়েছেন সব তারকা ফুটবলারই। তবে বাদ পড়েছেন পোর্তোর স্ট্রাইকার রিকার্ডো বার্নার্ডো। ২০০৩ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলছেন রিকার্ডো। ৩৫ ম্যাচে ৩টা গোলও করেছেন। তবে তাকে দলের বাইরে রাখাই ভালো মনে করেছেন পাওলো বেন্টো।
পর্তুগাল বিশ্বকাপে জি গ্রুপে মুখোমুখি হবে শক্তিশালী জার্মানি, ঘানা ও যুক্তরাস্ট্রের। মার্কিনীদের তুলনামূলক দুর্বল মনে হলেও এই গ্রুপে জার্মানি ও ঘানা পর্তুগিজদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ বলে স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে গ্রুপ পর্ব পাড়ি দেওয়ার জন্যই রোনালদোদের লড়াই করতে হবে। ১৬ জুন দুর্দান্ত জার্মানির মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ২৬ জুন ঘানার সঙ্গে খেলবে তারা। বিশ্বকাপ খেলার আগে তিনটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবেন রোনালদোরা। ৩১ মে গ্রিস, ৬ জুন মেক্সিকো এবং ১০ জুন আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের মুখোমুখি হবে পর্তুগিজরা।
বিশ্বকাপে পর্তুগালের সেরা অর্জন ১৯৬৬ সালে তৃতীয় হওয়া। এরপর ২০০৬ সালে লুই ফিগোর পর্তুগাল সেমিফাইনাল খেলেছিল। সেবার জিদানের ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল পর্তুগিজরা। ফিগোর সেই দলে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। ইউরোপীয়ান ফুটবলে পর্তুগালের নাম সব সময়ই ফেবারিটের তালিকায় থাকে। বিশ্বকাপেও ফেবারিটের তকমা নিয়েই খেলতে যাবে তারা। রোনালদো কি পারবেন পর্তুগিজদের আরাধ্য বস্তুটা এনে দিতে! বিশ্বকাপের সোনার ট্রফিতে চুমু খেতে!
গোলরক্ষক
রুই প্যাট্রিসিও (স্পোর্টিং), বেতো (সেভিয়া) ও এডুয়ার্ডো (ব্রাগা)
ডিফেন্ডার
আন্দ্রে আলমিডা (বেনফিকা), ব্রুনো আলভেস (ফেনেরবাখ), ফ্যাবিও কোয়েন্ত্রাও (রিয়াল মাদ্রিদ), হুয়াও পেরেইরা (ভ্যালেন্সিয়া), নেতো (জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ), পেপে (রিয়াল মাদ্রিদ) ও রিকার্ডো কস্তা (ভ্যালেন্সিয়া)
মিডফিল্ডার
হুয়াও মতিনহো (মোনাকো), মিগুয়েল ভেলোসো (ডাইনামো কিয়েভ), রাউল মেয়ারলেস (ফেনেরবাখ), রুবেন অ্যামোরিম (বেনফিকা), উইলিয়াম কারভালহো (স্পোর্টিং), ন্যানি (ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড), রাফা সিলভা (ব্রাগা), ভিরিনহা (উলফসবার্গ) ও সিলভেস্তর ভ্যারেলা (পোর্তো)
ফরোয়ার্ড
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ), এডার (ব্রাগা), হেলডার পস্তিগা (লেজিও) ও হুগো আলমিডা (বেসিকতাস)