বার্সেলোনার কোচিং ছেড়ে বিশ্রামে কাটিয়েছেন এক বছর। বিশ্রাম নিয়ে হয়েছেন তরতাজা। বার্সেলোনার স্বপ্নের কোচ যখন জার্মানির 'সুপার হেভিওয়েট ক্লাব' বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন, তখন অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছিল। সমালোচকেরা ভেবেছিলেন, গার্ডিওলার 'টিকিটাকা' তত্ত্ব্ব খাটবে না জার্মান পাওয়ার হাউসের ক্ষেত্রে। কিন্তু তারা যে ভুল ছিলেন, বছর শেষে সেটা প্রমাণ করে দেন গার্ডিওলা। প্রথম মৌসুমেই চার চারটি শিরোপা বায়ার্নের শো কেসে তুলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ধরাশায়ী হয়ে আবার সমালোচিত হন। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসেনি বিশ্বকাপের দলগুলোর। বিশ্বকাপে যে ৩২ দল অংশ নিচ্ছে এবার, তাদের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত স্কোয়াডে সবচেয়ে বেশি ১৮ ফুটবলার এসেছে বায়ার্ন থেকে। দ্বিতীয় স্থানে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড, ১৬ ফুটবলার। দুই বিশ্বসেরা ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ থেকে সুযোগ পেয়েছে ১৩ ও ১২ জন।
জাতীয় দলের পক্ষে খেললেও ক্লাবগুলো ফুটবলারদের জন্য একটি ভর্তুকি পায়। ক্লাবগুলোকে এই ভর্তুকি দেয় ফিফা। ২০১০ বিশ্বকাপে প্রতি ফুটবলারের জন্য ক্লাবগুলো পেয়েছিল ১ হাজার ৬০০ ডলার করে। সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। চার বছর আগে বার্সেলোনার কোষাগারে জমা পড়েছিল প্রায় পৌনে ৮ লাখ ডলার। এবার সেই অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। এবার প্রতি ফুটবলারের জন্য ফিফা দিচ্ছে ২ হাজার ৮০০ ডলার। গতবারের চেয়ে ১ হাজার ২০০ ডলার বেশি। এই বিবেচনায় এবার সবচেয়ে বেশি অর্থ পেতে পারে বায়ার্ন মিউনিখ। অর্থের পরিমাণ হতে পারে এক মিলিয়ন ডলার।
ক্লাবের কোটায় যেমন সবচেয়ে বেশি ফুটবলার সাপাই দিচ্ছে বায়ার্ন। সাপাই দিয়ে আয়ও বেশি হবে জার্মান ক্লাবটির। তবে দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ফুটবলার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের পক্ষে খেলবেন দিয়াগো কস্তা। ক্রোয়েশিয়ায় রয়েছেন দুই ব্রাজিলিয়ান। ঘানার ফুটবলারও রয়েছেন অন্য দেশে। তবে সবচেয়ে বেশি ফুটবলার ডাক পেয়েছে রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে। রাশিয়ান লিগ থেকে এবার ৪৩ ফুটবলারের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর রয়েছে মেঙ্েিকার। মেঙ্কিান লিগ খেলা ফুটবলারের সংখ্যা ৩৬। তৃতীয়স্থানে যৌথভাবে রয়েছে নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কের লিগ থেকে। দুই লিগ থেকেই সুযোগ পেয়েছে ২৮ জন করে ফুটবলার।
বিভিন্ন লিগ থেকে বিভিন্ন ফুটবলার সুযোগ পেলেও আলোচনায় থাকবে বেশ কয়েকটি ক্লাব এবং লিগ। এরমধ্যে সবার আগে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড। রিয়ালে খেলছেন বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ইকার ক্যাসিয়াস। বার্সেলোনায় লিওনেল মেসি, নেইমার, জাভি, ইনিয়েস্তা। বায়ার্নে আর্জেন রোবেন, ফ্রাঙ্ক রিবেরি। সুতরাং বিশ্বকাপে দেশগুলোর আড়ালে আরও একটি লড়াই থাকবে ক্লাবগুলোকে নিয়ে।