১২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে দুনিয়া কাঁপানো বিশ্বকাপ ফুটবল। ১৩ জুলাই ফাইনালের মাধ্যমে এ আসরের পর্দা নামবে। অর্থাৎ একমাস পৃথিবী ব্যস্ত থাকবে বিশ্বকাপকে নিয়েই। এরপর আবার শুরু হবে বিশ্ব ক্রীড়ার দুই গেমস। আগস্টে স্কটল্যান্ডের গ্লাসকোয় কমনওয়েলথ ও সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইনচিনে বসবে এশিয়ান গেমস। ফুটবলে বিশ্বকাপ খেলাটা স্বপ্ন হয়ে থাকলেও স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে দুই গেমসে অংশ নিচ্ছে। স্বর্ণও জুটেছে দুই গেমসে। ১৯৯০ সালে অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথম স্বর্ণ জয় করে। নিনি ও আতিক দেশের জন্য এ সম্মান এনে দেন। ২০০২ সালে ম্যানচেষ্টার কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংয়ের মাধ্যমেই পুনরায় স্বর্ণ আসে। নায়ক আসিফ। অন্যদিকে এশিয়ান গেমসে প্রথম স্বর্ণ মিলে ২০১০ সালে। চীনে আয়োজিত এ গেমসেই প্রথমবারের মতো ক্রিকেট ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়। টি-২০ আসরে আশরাফুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বর্ণ জিতে বাজিমাত করে।
ঘুরে-ফিরে আবারও দৌরগোড়ায় দুটো গেমস। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টের অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে অনেক আগে থেকেই। এরমধ্যে সাঁতার অন্যতম। গত জানুয়ারি থেকেই নেভী হেড কোয়ার্টারে পুরুষ ও মহিলা সাতারুদের অনুশীলন শুরু হয়েছে। এখন ১ মে থেকে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেঙ্ অনুশীলন চলছে। গোলাম মোস্তফা ও লায়লা নূরের প্রশিক্ষণে সাঁতারুরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কমনওয়েলথ বা এশিয়ান গেমসে পুরুষ থেকে মাহফিজুর রহমান সাগর ও মহিলা বিভাগে মাহফুজা খাতুন অংশ নেবেন। ৫০ ও ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে মাহফিজুর অন্যদিকে ৫০ ও ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে লড়তে মাহফুজা পানিতে নামবেন। এর আগে অলিম্পিক ও কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাগরের। লন্ডন অলিম্পিকে ৩৬, কমনওয়েলথে তার স্থান ছিল ৩৩ নম্বরে। এবার দুই গেমসে তার লক্ষ্য কি? প্রশ্নটি শুনে সাগর কিছুক্ষণ নীরব ছিলেন। পরে বললেন, বিদেশি প্রশিক্ষক হলে হতো, তারপরও আমাদের প্রস্তুতি ভালোই হচ্ছে। তবে টার্গেট হিসেবে আমি কোনোভাবেই পদকের প্রতিশ্রুতি দিতে পারব না। কেননা যা সম্ভবই নয় তা বলব কেন? কমনওয়েলথ বা এশিয়ান গেমসে বিশ্ববিখ্যাত সাঁতারুরা অংশ নেবেন। তারপর আবার তাদের টপকিয়ে পদক জয় করা সম্ভব নয়। আমার লক্ষ্য থাকবে সেমিফাইনাল। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল হক রফিজ স্বীকার করে বললেন, পদক জিততে যে ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার তা আমরা দিতে পারছি না। এখানে মূল কারণ হচ্ছে ফান্ড। যা পাচ্ছি তা দিয়েই কাজ করছি। তিনি বলেন, আসলে গেমসে ভালো ফল পেতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারও প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া কোনোভাবেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। রফিজ দৃঢ়ভাবে বলেন, দেশে যে মানসম্পন্ন সাঁতারু আছেন তাদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দিলে ভবিষ্যতে যে কোনো গেমসে পদক আশা করা যায়।