পর্তুগালে এক রোনালদো ছাড়া বিশ্বকাপ জেতানোর মতো ফুটবলার আছে কি? ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় সতীর্থ এক খেলোয়াড় তাকে ঠাট্টা করেই বলেছিলেন, তুমি যদি পর্তুগিজ না হয়ে ইংলিশ হতে এত দিনে ঠিকই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেয়ে যেতে। কথাটা রোনালদোকে এতটা আঘাত দিয়েছিল যে তিনি কাঁদতে কাঁদতে জবাব দিয়েছিলেন, পর্তুগাল আমার দেশ বলে গর্ববোধ করি। বিশ্বকাপ না জিতলেও আমার কোনো যায় আসে না। দেশকে তিনি কতটা যে ভালোবাসেন এ বক্তব্যই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিকের নেতৃত্বে পর্তুগাল এবার বিশ্বকাপ খেলছে। কিন্তু রোনালদোর ওপর ভরসা করে বিশ্বকাপ নয় পর্তুগিজরা এবার নকআউট পর্বে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। জার্মানির কাছে তারা গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে। যে রোনালদোকে রিয়ালের জার্সিতে সিংহ মনে হয় সেখানে কিনা জার্মানির সামনে তিনি ছিলেন বড্ড অসহায়। এমন অসহায়ত্ব চেহারায় তাকে খুব কমই দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে তার পায়ে বল আসলেও প্রতিপক্ষের জালে গোল করার মতো আক্রমণই চালাতে পারেননি। আসলে করবেন বা কি, কে তাকে বল যোগান দেবেন। বা নিজে বল যোগান দিয়ে গোল করাবেন সেই মানের সতীর্থ খেলোয়াড় কি দলে আছে। পেপে, কোয়োস্ত্রো ও নানিকে নিয়ে কিছুটা ভরসা করা গেলেও তারাও ছিলেন নিষ্ক্রিয়। পেপেতো প্রথমার্ধে লাল কার্ড পেয়েই বহিষ্কার হন। এমনিতেই দলের করুণ হাল তারপর ১০ জন হয়ে যাওয়াতে রোনালদো আরও অসহায় হয়ে পড়েন। প্রথম ম্যাচ হেরে এখনো নকআউট পর্বের যাওয়ার আশা ফুরিয়ে যায়নি। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দুই প্রতিপক্ষ ঘানা ও যুক্তরাষ্ট্র থাকলেও ভরসা করা যায় না। রোনালদোর মতো খেলোয়াড় যদি গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেন এর চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কি হতে পারে।