এমন হবে আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু বিশ্বকাপে ইতালি যেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে আত্দসমর্পণ করল। কথাগুলো বলছিলেন, ইতালি দলের তারকা ফুটবলার রবার্তো ব্যাজিও। উরুগুয়ের কাছে হারার পর ইতালিয়ানরা যেন শোকে পাথর হয়ে গেছে। ব্যাজিও বললেন, কষ্ট পাওয়াটা স্বাভাবিক। কেননা ইতালির মতো দল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেবে তা মানাটা সত্যিই কষ্টকর। তবে কে কি ভাববেন জানি না, আমি কিন্তু এমন আশঙ্কাটাই করছিলাম। বলতে পারেন কেন, দেখেন ইতালি চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তাই দেশবাসীর প্রত্যাশা থাকে শিরোপাকে ঘিরেই। আমি বলব বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইতালি এবার সবচেয়ে দুর্বল দল নিয়েই চূড়ান্ত পর্বে খেলতে গেছে। কোনো পজেশনেই নির্ভর করার মতো তারকা ফুটবলার ছিল না। তারপর আবার কপাল খারাপ ছিল বলে 'ডি' গ্রুপে তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এক সঙ্গে পড়ে গেছে। দুই দল নকআউট পর্বে খেলবে তাই এক চ্যাম্পিয়ন যে বিদায় নেবে তা আগেই ঠিক করা ছিল। কোস্টারিকা আমারও হিসাবের মধ্যে ছিল না। শক্তির বিচারে উরুগুয়ে ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে পারবে না এ ধারণা ছিল আমার। অথচ কোনোভাবে ইংল্যান্ডকে হারালেও কোস্টারিকার কাছে হেরে যায়। এই হারে আমি নিশ্চিত হয়ে যাই নকআউট পর্বে ইতালি আর যাচ্ছে না। তারপরও সুযোগ ছিল, উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করতে পারলেই চলতো। ম্যাচে কোচ কেন যে রক্ষণাত্দক পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিয়েছেন তা বুঝে উঠতে পারলাম না। কেননা আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গতিময় ফুটবল খেলে উরুগুয়ে জয় পেয়েছে। কোচের বোঝা উচিত ছিল জয় ছাড়া প্রতিপক্ষের যখন বিকল্প কোনো পথ নেই তখন তারা অলআউট ফুটবল খেলবে। রক্ষণাত্দক খেলাতে স্বাভাবিকভাবে চাপ বেড়ে গিয়েছিল। আর এ ভুল কৌশলে সুযোগ থাকার পরও শেষ রক্ষা হয়নি ইতালির। যাক বিশ্বকাপে এমন দল হতেই পারে। ইতালিকে এখন ভাবতে হবে ভবিষ্যৎ নিয়ে। কেননা বেশ কয়েক বছর ধরে ফুটবলে দুর্দশা চলছে।