জয় দিয়ে ফুটবল দল এশিয়ান গেমসে মিশন শুরু করেছে। ২৮ বছর পর এ জয়ের দেখা মিলেছে। পরের দুই ম্যাচে হংকং বা উজবেকিস্তানকে হারাতে পারলেই এশিয়ান গেমসে ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। দেশবাসী অপেক্ষা করছেন সেই পথে মামুনুলরা আসতে পারবেন কিনা। পুরুষ ক্রিকেটে স্বর্ণ আর মেয়েরা গত এশিয়ান গেমসে রৌপ্য জিতে ছিল। এবারও পুরুষরা স্বর্ণ জেতার আশা করছেন। গতকাল ঢাকা ছাড়ার আগে অধিনায়ক সালমা খাতুন বলে যান রৌপ্য নয় এবার তাদর টার্গেট স্বর্ণ। হকি দলও গতকাল রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। বাংলােেশর অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হকিতে সুখকর কোনো ফলাফল আসেনি। ১৯৭৮ সালে প্রথমবারের এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে হকিতে বির্যয় ঘটেছিল। পাকিস্তানের কাছে ১৭-০ গোলে লজ্জাজনক হারে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সত্যি বলতে কি এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের অবস্থান কখনো সম্মানজনক নয়।
এবার খেলোয়াড়রা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন পদক জেতার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আগের চেয়ে অবস্থান মজবুত করতে চাই। অধিনায়ক মামুনুর রহমান চয়ন বলেন, আমাদের প্রস্তুতি ভালই হয়েছে। আশা রাখি প্রতিম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। বাংলাদেশ খেলবে কঠিন গ্রুপেই। দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জাপানের মতো শক্তিশালী দল রয়েছে। মান বিচারে গ্রুপে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। চয়ন অবশ্য বলেছেন, কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না। গতবারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল আটে। এবার লক্ষ্যে পাঁচ বা ছয়ে থাকা। অতীতে প্রস্তুতি নিয়ে কথা উঠলেও হকি ফেডারেশন এবার সেদিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিন মাসের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের নাভেদ আলমের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ অনুশীলন করেছে। বেশ কটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। বিশেষ করে ভারতের এ দলের সঙ্গে তিন ম্যাচেই হার মানলেও খেলোয়াড়রা নিজেদের শোদরানোর সুযোগ পেয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড হকি লিগের শিরোপা গেমসে শক্তির টনিক হিসাবে কাজ করবে। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই চয়নরা এবার এশিয়ান গেমসে খেলতে গেছেন। তারপরও পাঁচ বা ছয়ে থাকা চাট্রিখানি কথা নয়। কেননা ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান বা মালয়েশিয়া শেষ চারে সুযোগ পাবে অনেকটা নিশ্চিত। বাকিদের মধ্যে চীন, ওমান, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের মধ্যে পজিশনের লড়াই হবে। এখানে আবার মালয়েশিয়া বা জাপান থাকবে। সুতরাং এদেরকে টপকিয়ে বাংলাদেশ যদি পাঁচ বা ছয়ে থাকতে পারে তা হবে হকির জন্য বড় সাফল্য। ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে জাপানের বিপক্ষে। ২১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া, ২৩ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর ও ২৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবেন চয়নরা।