গেমস কাদের জন্য খেলোয়াড় না কর্মকর্তাদের। বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে মনে হয় গেমস কর্মকর্তাদের জন্যেই। তারা আরাম আয়াসে যেতে পারলেও বার বার ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন খেলোয়াড়রা। এবার এশিয়ান গেমসেও একই অবস্থা। ২০ সেপ্টেম্বর হকিতে বাংলাদেশ লড়বে জাপানের বিপক্ষে। অথচ খেলোয়াড়রা ইনচেনে পৌঁছাবেন মাঠে নামার কয়েক ঘণ্টা আগে। ক্লান্ত শরীর নিয়েই চয়নদের শক্তিশালী জাপানের বিপক্ষে লড়তে হবে। এই অমানবিক ও ক্লান্তহীন কাজটি করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। কথা ছিল হকি দল সরাসরি ফ্লাইটে ইনচেনে পৌঁছাবেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে খেলোয়াড়রা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর জানতে পারেন সরাসরি নয় তারা থাইল্যান্ড হয়ে ইনচেনে যাবেন। এ জন্য সেখানে বাইশ ঘণ্টা বসে থাকতে হবে। কথাটি শুনে হতবাক হয়ে যান হকি খেলোয়াড়রা। কারণ থাইল্যান্ডে কারও ট্রানজিট ভিসা নেই। এ জন্য বিমানবন্দরে দীর্ঘক্ষণ অলস সময় কাটাতে হবে। শেষ পর্যন্ত তাড়াহুড়া করে থাইল্যান্ডের ভিসা পেয়ে খেলোয়াড়রা রওনা দেন। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, শেভ দ্য মিশন বশির ভাই বলেছিলেন হকি দল সরাসরি ইনচেনে যাবে। এখনতো দেখছি পুরো ভোগান্তির শিকার হলেন খেলোয়াড়রা। আগে জানলে আমরা কোনোভাবেই দল পাঠাতাম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে ২০ তারিখে ম্যাচ থাকার পরও হকি খেলোয়াড়দের সরাসরি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়নি। কিন্তু শেভ দ্য মিশন ও বিওএর অন্য প্রতিনিধিরা ঠিকই ক্লান্তিহীন অবস্থায় ইনচেনে পৌঁছাচ্ছেন। বিষয়টি সচেতন ক্রীড়ামহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলেছেন বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করা উচিত। হকিতে এমনিই রেকর্ড সুখকর নয় তারপর উদ্বোধনী ম্যাচেই লড়তে হচ্ছে জাপানের বিপক্ষে। ক্লান্ত শরীর নিয়ে মাঠে ভরাডুবি ঘটলে এ দায় দায়িত্ব নেবে কে? সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পুরো বিষয়টি শেভ দ্য মিশন দেখেছেন। এখানে আমাদের কিছু করার ছিল না। ইনচেনে যাওয়াতে বশির আহমেদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।