আগামী ৩ অক্টোবর বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেওয়ার কথা আল-আমিনের। কিন্তু সেটা হচ্ছে না ইনজুরির জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন পিঠের মাংসপেশিতে টান পড়েছিল আল-আমিনের। এর পর আর বোলিং করেননি। সেই ইনজুরিই পিছিয়ে দিচ্ছে এই ডান হাতি ফাস্ট বোলারের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা। এরমধ্যেই ক্রিকেট বোর্ড থেকে তার ইনজুরির বিষয়টি জানানো হয়েছে আইসিসিকে। কেননা আইসিসির ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হয় বোলারদের। ইনজুরির জন্য আল-আমিনের পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ অক্টোবর।
মাংসপেশিতে টান পড়ার পর বেশ ব্যথা অনুভব করেছিলেন আল-আমিন। বোলিং করলেই ব্যথাটা বেড়ে যায় বলেন এই ডান হাতি পেসার, 'এমনিতে কোনো ব্যথা নেই। কিন্তু বোলিং করলে ব্যথা অনুভূত হয়।' ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ব্যথা নিয়ে দেশে ফিরে এমআরআই করেন। রিপোর্টে দেখা গেছে, তার মাংসপেশিতে বেশ বড় রকমের ইনজুরি। এজন্য চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এবং সুস্থ হওয়ার জন্য বিভিন্ন শিডিউলে অনুশীলন করতে হবে। সে অনুযায়ী গতকাল থেকেই বিসিবির হেড অব ফিজিক্যাল ট্রেনার স্টুয়ার্ট কার্পিনেনের অধীনে। অনুশীলন করাচ্ছেন ক্রিকেট দলের নতুন ফিজিও ব্রেট হ্যারড। পুনর্বাসনের এই অনুশীলন চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। অনুশীলন শেষেই তিনি পরীক্ষা দিতে ঢাকা ছাড়বেন। পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে সাধারণত ১৪ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। রিপোর্ট প্রকাশের আগ পর্যন্ত ক্রিকেট খেলতে পারবেন অভিযুক্ত বোলার। কিন্তু যদি রিপোর্ট নেতিবাচক হয়, তাহলে খেলা সম্ভব নয় তার পক্ষে। যেহেতু পরীক্ষা দেননি এবং রিপোর্টও প্রকাশিত হয়নি, তাই আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলার আশা করছেন আল-আমিন, 'আমার বোলিং অবৈধ এখনো এটা প্রমাণিত হয়নি। তাই আশা করছি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলার। এছাড়া আমি আত্দবিশ্বাসী। পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হবে না বলেই বিশ্বাস।' ক্যারিয়ারে আল-আমিন টেস্ট খেলেছেন ৫টি, ওয়ানডে ৯টি এবং টি-২০ ৯টি। দিন কয়েক আগে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে এসেছেন অফ স্পিনার সোহাগ গাজী। পরীক্ষার পর আত্দবিশ্বাসী সোহাগ। আশা করছেন খেলায় ফেরার এবং ভালো রিপোর্টের। অবশ্য গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন অফ স্পিনারের বোলিং অ্যাকশনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আইসিসি। নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের সাঈদ আজমল, শ্রীলঙ্কার সচিত্র সেনানায়েক, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে। পেসার আল-আমিন চিহ্নিত হয়েছেন অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য।