অস্ট্রেলিয়ান উইকেটে বলের গতি যেমন বেশি। তেমনি বেশি বাউন্সও। একই রকম নিউজিল্যান্ডেও। তবে সেখানে সুইংটা বেশি। এসব মাথায় রেখেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে চার পেসার। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গী তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন ও আল আমিন। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের সবগুলো ম্যাচই খেলবেন মাশরাফি। তার সঙ্গে বাকি তিন পেসারের জন্য লড়াই হবে রুবেল, তাসকিন ও আল আমিনের মধ্যে। টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবেন, খেলবেন কারা। বিশ্বকাপে খেলুন, আর নাই খেলুন, দুই পেসার তাসকিন ও আল আমিন এরই মধ্যে এঁকে নিয়েছেন ব্যক্তিগত পরিকল্পনা। দুজনেই জানেন দুই দেশের কন্ডিশন। সেখানে গতি সহায়তা দিবে উজার করে। কিন্তু তারচেয়েও জরুরি নিখুঁত লেন্থে বোলিং করা। আর সেদিকেই মনোযোগ দিতে চান তাসকিন ও আল আমিন। তাসকিন ও আল আমিন দুজনেই প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। তাই উত্তেজনা একটু বেশিই। তারপরও নিজেদের স্থির রাখছেন। তাসকিন বলেন, 'বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন সব ক্রিকেটারেরই থাকে। আমারও ছিল। আমি খেলার সুযোগ পাব। তাই কিছুটা উত্তেজিততো অবশ্যই। তারপরও চেষ্টা থাকবে সেরাটা খেলতে। আল আমিনও উচ্ছ্বসিত সুযোগ পাওয়ায়, 'যখনই খেলা শুরু করেছি, তখনই বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখেছি। সেটা পূরণ হচ্ছে। তাই আনন্দটা একটু বেশিই।' দুজনের মধ্যে অদম্য অস্ট্রেলিয়ান উইকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাসকিনের। ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন তাসকিন। সেই অভিজ্ঞতা এবং বিগ ব্যাশ ও ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দেখে তার মনে হয়েছে সাফল্য পেতে গতি নয়, নিখুঁত লেন্থে বোলিং করা জরুরি, 'বিগ ব্যাশ এবং ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দেখা গেছে বোলাররা ঠিক জায়গা বোলিং না করলে ব্যাটসম্যানরা সহজেই তা খেলেছেন। আমি বেসিক ঠিক রেখে জোরে বোলিং করতে পারি। কিন্তু তারচেয়ে জরুরি নিখুঁত লাইন-লেন্থে বোলিং করা।' তাসকিনের মতো একই সুরে কথা বললেন আল আমিন, 'আমার বোলিংয়ের মূল শক্তি আউট সুইং। আমি সেটা নিয়েই কাজ করছি। আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে গতি কোনো ফ্যাক্টর নয়। স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বোলিং করলে সাফল্য আসবে।' দুই পেসারের বিশ্বকাপ খেলা শঙ্কার কালো মেঘে ঢাকা পড়েছিল এক সময়। ইডেন গার্ডেনের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত টুর্নামেন্ট খেলতে যেয়ে কোমড়ের মাসলে পুল করেছিল তাসকিনের। সেই ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন এই ডান হাতি ফাস্ট বোলার। আল আমিন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন তার বোলিং অ্যাকশনকে ত্রুটিপূর্ণ বলেছিলেন আম্পায়ারদ্বয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা দিয়ে অ্যাকশন শুধরে ফিরেন জাতীয় দলে। এখন দুজনেই চাইছেন বিশ্বকাপে দেশের সাফল্যের পেছনে ভূমিকা রাখতে।