কোনো প্রতিরোধ নয়, আবারও জাপানের কাছে হকিতে হেরে গেছে বাংলাদেশ। গতকাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ১-৫ গোলে হেরে যায়। গেল এশিয়ান গেমসেও চয়নরা শোচনীয় হার মেনেছিল জাপানের কাছে। এবার ঢাকা ছাড়ার আগে অধিনায়ক কৃষ্ণ বলে যান, প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে আশা করি টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন আগে থেকে শুধু প্রস্তুতি নয় দলকে বেশ ক'টি প্রীতি ম্যাচ খেলানোর ব্যবস্থা করে দেয়। এসব ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল না। মালয়েশিয়া অনূর্ধ্বূ-২১ দলের কাছে হারলেও ২৩ দলকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে। সিঙ্গাপুরে মাঠে নামার আগে আরেক প্রীতি ম্যাচে ইউক্রেনের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে যায়।
জাপান এক সময় বাংলাদেশের সমমানের দল হলেও বর্তমানে তারা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ভারত এবং পাকিস্তানও তাদের বিপক্ষে জিততে হিমশিম খেয়ে যায়। সুতরাং বাংলাদেশ তাদেরকে হারাবে তা আশা করা যায় না। তবে ওয়ার্ল্ড হকি লিগে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আশা ক্রীড়ামোদীদের ছিল। বাস্তবে তা হতাশায় রূপ নিয়েছে। টেলিফোনে দলীয় ম্যানেজার কামরুল ইসলাম কিসমত বলেন, ৫ গোল খাওয়ার পেছনে জাপানের খেলোয়াড়দের যতটা না কৃতিত্ব দেওয়া যায় তার চেয়ে বেশি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ভুলটা চোখে পড়েছিল। নিজেদের দুর্গে বল কাটাতে গিয়েই শুরুতেই গোল হজম করে বসে তারা। এতেই খেলোয়াড়দের আত্দবিশ্বাস ভেঙে যায়। পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয় জাপানিরা। একের পর এক তিন গোল খেয়ে পুরো ম্যাচেই যেন বাংলাদেশ নীরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। চয়ন একটি গোল শোধ করলেও কৃষ্ণরা ঘুরে দাঁড়াতেই পারেনি। দেশের তারকা খেলোয়াড় জিমি মাঠে নামলেও তিনি তার সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারেননি। গোল করার মতো আক্রমণই করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত উদ্বোধনী ম্যাচেই বাংলাদেশ শোচনীয়ভাবে হার মানে। বাংলাদেশ পরবর্তী দুই ম্যাচ লড়বে মেক্সিকাে ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে। দুটো দলই একেবারে নতুন প্রতিপক্ষ। কৃষ্ণরা এখন যদি দুই ম্যাচ জিততে পারে তাহলে লড়াইয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনা থাকবে।