রবিবার অবিশ্বাস্য ও বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন এ বি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি তুলে বিস্মিত করেন সবাইকে। কাল কনকনে ঠাণ্ডায় ক্রিকেটাররা যখন মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিলেন, তখন তাদের আলোচনায় ছিল ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং! ক্রিকেট মহাযজ্ঞে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে টাইগারদের দেখা হচ্ছে না লিগ পর্বে। দুই দল দুই গ্রুপে। ভিলিয়ার্সের দেখা না পেলেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে সফল হতে মরিয়া বাংলাদেশ। মিরপুরে বাড়তি ঘাস আচ্ছাদিত সেন্ট্রাল উইকেটের বাউন্স ও গতির বিপক্ষে ব্যাটিং করছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। মাশরাফি বিন মর্তুজা, তাসকিন আহমেদের গতি, সুইং ও বাউন্সের বিপক্ষে কখনো-সকনো বিপর্যস্ত হতে দেখা গেছে ব্যাটসম্যানদের। তারপরও এমন উইকেটে অনুশীলন করে সন্তুষ্ট ক্রিকেটাররা। ২২ জানুয়ারি অনুশীলন শেষ করে ক্রিকেটাররা উড়ে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। সেখানে দুই সপ্তাহ ক্যাম্প করবে ক্রিকেট দল। এরপর অংশ নিবে ক্রিকেট মহাযজ্ঞে। গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ রয়েছে। তারপরও কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন টাইগারদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ।
বিশ্বকাপের আগে ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে অপরাপর দলগুলো। বিপরীতে অনুশীলনে বেশি সময় পার করছে বাংলাদেশ। এই অনুশীলন অবশ্য কোনো সমস্যা নয় বলেন মাহমুদুল্লাহ, 'আমার কাছে মনে হয় না এটা কোনো সমস্যা। আমরা সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছি। এরপর ব্যস্ত ছিলাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট নিয়ে। আমি মনে করি আমরা যথেষ্ট সময় অনুশীলন করছি। এছাড়া ব্রিসবেনে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব। এরপর অফিশিয়াল ম্যাচ আছে। সব মিলিয়ে আমি মনে করি প্রস্তুতি ভালোই হবে।' গ্রুপে আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের মতো আইসিসি সহযোগী দেশ রয়েছে। তাদের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে মাহমুদুল্লাহ সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি, 'আমরা স্বাভাবিক খেলার চেষ্টা করব। ভালো ক্রিকেট খেলতে চাইব। দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী। আমি মনে করি বিশ্বকাপে ভালো করা প্রথম ম্যাচের (১৮ ফেব্রুয়ারি, আফগানিস্তান) উপর নির্ভরশীল।' প্রথম ম্যাচের উপর সাফল্য নির্ভর করছে বললেও টার্গেট কোয়ার্টার ফাইনাল বলতে দ্বিধা করেননি ২০১১ সালে বিশ্বকাপ খেলা মাহমুদুল্লাহ, 'আমাদের টার্গেট অবশ্যই কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে এটা তখনই সম্ভব, যখন আপনি টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলবেন। ধারাবাহিকভাবে ক্রিকেট খেলাই আমাদের প্রথম টার্গেট।' ঘরের মাঠে গত বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মাত্র ৪ ম্যাচ। রান করেছিলেন সাকল্যে ৩২। এবার দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ। তারপরও নিজের আলাদা কোনো টার্গেট নেই বলেন মাহমুদুল্লাহ, 'ব্যক্তিগত বিশেষ কোনো টার্গেট নেই। সব সময় চেষ্টা করি দলের সাফল্যে সহায়তা করতে। এবারও চেষ্টা করব সুযোগ পেলেই দলের জন্য বড় কিছু করার।'
বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে সব সময়ই উন্মাদনা থাকে দেশে। এবার একটু বেশি। এটা ভালো করেই জানেন ক্রিকেটাররা। দেশবাসীকে আনন্দ উৎসবে মাতাতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহরা।