উৎসবের রং লেগেছিল মেলবোর্নের গায়ে। উচ্ছ্বাস-উৎসবের আবহে ঢাকা পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি। মেলবোর্ন; যার আরেক নাম 'সিটি অব স্পোর্টস'। শুধু ক্রিকেট নয়, অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল, সকার, অ্যাথলেটিঙ্-সব খেলার প্রাণকেন্দ্র মেলবোর্ন। ক্রিকেট ছাড়া এমসিজি বা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিয়মিতই হচ্ছে ফুটবল, সকার। তবে ক্রিকেটবিশ্বের কাছে মেলবোর্নের একমাত্র পরিচয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বলে। কাল সেই স্টেডিয়ামে বসেছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। প্রতিপক্ষ তাসমান সাগরের দুই প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। জমজমাট ফাইনাল দেখার আশায় কাল মেলবোর্নের সব রাস্তা দিয়ে হেঁটে, ট্রামে, টিউব রেলে চড়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অগুনতি ক্রিকেটপ্রেমী উপস্থিত হয়েছিলেন মেলবোর্নে। দিন শেষে দেখা গেছে ৯৩ হাজার ১৩ জন ক্রিকেটপ্রেমী উপভোগ করেন ফাইনাল। যা শুধু এমসিজি নয়, বিশ্বকাপ ক্রিকেটেরও রেকর্ড। সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ৪৯টি ম্যাচে মোট দর্শকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৬ হাজার ৪২১ জন।
১৫ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্ন দিয়ে শুরু হয়েছিল ক্রিকেট মহাযজ্ঞ। কাল সেখানেই সমাপ্তি হলো ৪৩ দিনের জমজমাট আসর। শেষ হলো দুই সহ অয়োজক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ফাইনাল দিয়ে। কালকের ম্যাচ দেখতে সকাল থেকেই উপচে পড়েছিল দর্শক। যদিও স্টেডিয়ামে প্রবেশের গেটগুলো খুলেছিল সকাল সাড়ে ১১টায়। তারপরও উপভোগ্য ফাইনাল দেখতে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন লাখো সমর্থক। কারও গায়ে অস্ট্রেলিয়ান জার্সি। হাতে অসি পতাকা। আবার কেউ আসেন নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে, পতাকা নাড়িয়ে। এমন উৎসবমুখর পরিবেশ দেখে ভারতের সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় বলেন, 'বিশ্বকাপের ফাইনাল হওয়া উচিত এমন পরিবেশেই।'