বাংলাদেশে যদি ক্রিকেটে জাত সংগঠক বলে কাউকে বলা হয় তাহলে আ হ ম মুস্তফা কামালের নামই আসবে। ক্রিকেটের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। ঘরোয়া লিগে ঢাকা আবাহনীর সাফল্যের কথা কারও অজানা নয়। এর নেপথ্যে কারিগর ছিলেন তিনি। নামকরা ক্রিকেটার এনে নিজের হাতে শক্তিশালী দল গড়তেন। শুধু দেশ কেন বিদেশি খ্যাতনামা ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল মধুর। যখনি যাকে ডেকেছেন আবাহনীতে খেলে গেছেন। ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল নায়ক শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। দামাল-সামারের এক ফাইনালে মোহামেডানের বিপক্ষে শচীনকে খেলার অফার দিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল। বন্ধুর টেলিফোন পেয়ে ঢাকা আসার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন শচীন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ছাড়পত্র না পাওয়াতে আবাহনীতে খেলা আর সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হাওয়ার পর টেলিফোনে মুস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানান শচীন। আইসিসি সভাপতি হওয়ার পর অনেক বিদেশি ক্রিকেটার অভিনন্দন জানালেও প্রথম ফোনটি পেয়েছিলেন শচীনের কাছ থেকেই। মেলবোর্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালে শচীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার জন্য। এবার বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচে সাবেক গ্রেট ক্রিকেটাররা ম্যান অব দ্য ম্যাচে পুরস্কার দেন। ফাইনালের আগের দিন শচীনকে লিখিতভাবে জানানো হয় ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন। শ্রীনিবাসন চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন তা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন, আইসিসি সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল কি পুরস্কার তুলে দিতে আপত্তি জানিয়েছেন। যখন শুনলেন আপত্তি নয় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কেন বাদ দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে অবশ্য শচীন কোনো প্রশ্ন তোলেননি। শুধু হেসে বলেছেন, ক্রিকেটে বড় একটা চমক দেখলাম।