চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির করা মামলার দায় থেকে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির জন্য নথি প্রস্তুত করে বিচারিক আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক এই আদেশ দেন। এরআগে এই মামলার আসামি ক্রিকেটার রুবেল হোসেন আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দাখিল করেন।
এ বিষয়ে হ্যাপির আইনজীবী তুহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, এখন নিয়মানুযায়ী এই মামলার নথি ঢাকার-৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালে যাবে। পরে সেখানে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হবে।
এরআগে গত ৬ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন ফৌজদারি বিধান কোষের ১৭৩ ধারামতে চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেন। এর পরে নিয়মানুযায়ী ওই চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হলে শুনানির জন্য বিচারিক আদালতে পাঠানো আদেশ দেন আদালত।
মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি রুবেল হোসেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়ার। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় ও বন্ধুপূর্ন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামলার তদন্তকালে রুবেলের বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রুবেলের বাসায় শুধু নাজনীন আক্তার হ্যাপী নন তার অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী সাংবাদিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে অনেকেই যাতায়াত করত। এছাড়া বাদীকে ডাক্তরী পরীক্ষায় মেডিকেল বোর্ড জানায় সম্প্রতি হ্যাপীর শরীরে কোথাও জোড় পূর্বক ধর্ষণের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে হ্যাপি একজন প্রাপ্তবয়স্ক, মিডিয়াতে কাজ করা সচেতন ও আধুনিক একজন ব্যক্তি। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ নামক সম্পর্ক ছাড়া যদি রুবেলের সঙ্গে মেলামেশা করে থাকেন তাহলে সেটা তার (বাদী) সম্মতিসহ হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু ধর্ষণের সংজ্ঞানুযায়ী জোড়পূর্বক বিবাহের প্রলোভন দিয়া তাহাকে ধর্ষণ করা হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ দায়ের করেছে তাহা সঠিক নয় মর্মে প্রথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই আসামি রুবেলকে মামলার দায় ইইতে অব্যাহতির দানের প্রার্থনা করা হল।
এরআগে ধর্ষণের অভিযোগে ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। মামলার অভিযোগ করা হয়, ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার হ্যাপির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ এপ্রিল, ২০১৫/মাহবুব