বৈশাখী উৎসবের বিলুপ্তি!

ক্রীড়া প

প্রিন্ট ভার্সন

ক্রীড়াঙ্গনে এক সময় বাংলা নববর্ষকে স্বাগতম জানান হতো। পয়লা বৈশাখে আয়োজন করা হতো বিভিন্ন দেশি খেলা। পাকিস্তান আমলে আউটার স্টেডিয়ামে বসতো লাঠি খেলা, কুস্তি ও চোখে কাপড় বেঁধে দৌড় প্রতিযোগিতা। দিনব্যাপী কাবাডি আসরও বসতো। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ক্রীড়া উৎসবের পাশাপাশি আউটার স্টেডিয়ামে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসতো বৈশাখী মেলা। বিকালে ফুটবল ও ভলিবলে প্রদর্শনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতো। শুধু কি তাই বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকাবাইচ হতো। অর্থাৎ ক্রীড়ামোদীরা ভালোভাবেই উদযাপন করতেন পয়লা বৈশাখ। সেই দৃশ্য দীর্ঘদিন ধরে চোখে পড়ছে না। বিশেষ করে লাঠি খেলা ছিল খুবই জনপ্রিয়। এখন বৈশাখতো বটেই বাংলাদেশে কোথাও লাঠি খেলা তেমনভাবে চোখে পড়ে না। ধারণা ছিল স্বাধীনতার পর পয়লা বৈশাখকে ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে দেশি খেলার ধুম পড়ে যাবে। কিন্তু তা এখন পুরোপুরি বিলুপ্তি বলা যায়। পয়লা বৈশাখে জমজমাট নৌকা বাইচ ও কাবাডি খেলার আয়োজন দেখে দুটি খেলায় আলাদাভাবে ফেডারেশন গড়া হয়। সত্যি বলতে কি ফেডারেশন আছে বলে সরকার থেকে প্রতি বছর অনুদানও পাচ্ছে। তারপরও নৌকা বাইচের কর্মকাণ্ড চোখে পড়ছে না। কাবাডি ফেডারেশন প্রতি বছর অনেক আসরের আয়োজন করলেও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে তেমনভাবে কর্মসূচি নেই তাদের। কথা হচ্ছে বাংলা বছরকে ক্রীড়াঙ্গনে এতটা অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে কেন? সরকারই বা এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে কেন? স্বাধীনতার পর ক্রীড়ার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। ১৯৭৩ সালে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রীড়াঙ্গনে নিয়মিত বৈশাখী উৎসব হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কেউ বাস্তবায়ন করতে পারেননি।