পেশাদার ফুটবল লিগে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখে প্রাথমিকভাবে জাতীয় দল গঠন করা হয়েছে। ডাচ কোচ লোডডিক ক্রুইফই মূলত খেলোয়াড় যাচাই-বাছাই করেছেন। কিন্তু তিনি নাকি পারফরম্যান্স পছন্দ না হওয়ার পরও কজন তারকা ফুটবলারকে স্কোয়াডে নিয়েছেন। কারণ বাংলাদেশে ভালোমানের ফুটবলারের এতটা সংকট যে, তাদের দলে না ডেকে উপায়ও নেই। জানা গেছে ক্রুইফ নাকি চেয়েছিলেন, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তরুণদের প্রাধান্য দিয়েই দল গড়তে। কিন্তু বাফুফের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য ছিল এত বড় আসরে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাই পারফরম্যান্স পছন্দের পর বেশ কজন তরুণ ফুটবলারকে প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাকতে পারেননি।
শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ও ঢাকা আবাহনীতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা খেলছেন। বিশেষ করে শেখ রাসেল ও শেখ জামালে তারকার ছড়াছড়ি। বিগ বাজেটে দল গড়েছে তারা। এরপরও নাকি কোচ ক্রুইফ তাদের খেলা দেখে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তারকা খেলোয়াড়দের এলোমেলো খেলা দেখে তিনি বিরক্ত। অবশ্য আবাহনীর দু-একটি ম্যাচ তার ভালো লেগেছে। ক্রুইফ নাকি বলছেন, ফিটনেসের অভাবে তারকা ফুটবলাররা মাঠে গতি বা দম ধরে রাখতে পারছে না। ক্রুইফ ছুটিতে নেদারল্যান্ডস থাকাতে শুরু থেকে লিগ দেখতে পারেননি। ঢাকায় আসার পর যে ম্যাচগুলো দেখছেন তাতে তার ঢাকা মোহামেডানের পারফরম্যান্সেই চোখে পড়ছে। ক্রুইফের বরাবরই অভিযোগ দম না থাকাতে বাংলাদেশের ফুটবলাররা গতিময় খেলা খেলতে পারেন না। এতে ফলাফল সুখকরও হচ্ছে না। কিন্তু এবার মোহামেডানের গতিময় খেলা দেখে তিনি রীতিমতো অবাক। বিশেষ করে চার-পাঁচজনের পারফরম্যান্স তার নজরে এসেছে। এদেরকে উপযুক্ত ট্রেনিং দিলে আন্তর্জাতিক ম্যাচেও মাঠ কাঁপাতে পারে। শুধু ক্রুইফ মুগ্ধ নন। মোহামেডানের চার তরুণ ফুটবলারের সঙ্গে এখনই আলাপ শুরু করে দিয়েছে দুই ক্লাব। লিগ শেষ হওয়ার পর আগামী মৌসুমের জন্য তাদের সঙ্গে আগাম চুক্তির কথাও শোনা যাচ্ছে।