সেপ ব্ল্যাটার ফিফার সভাপতির পদ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সাবেক ফুটবলারদের মধ্যে এ পদের জন্য আলোচনায় এসেছে আর্জেন্টিনার দিয়াগো ম্যারাডোনা আর ব্রাজিলের জিকোর নাম। সব সময়ই ফিফার ঘোর সমালোচনা করে আসা ম্যারাডোনা নিজে মুখ ফুটে অবশ্য ব্ল্যাটারের উত্তরসূরি হওয়ার লড়াইয়ে নামার ব্যাপারে কিছু বলেননি। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো এই তারকাকে ফিফা সভাপতি পদে দেখতে চেয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনা বা তার মতো কারও হওয়া উচিত।"
ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা 'সাদা পেলে' নামে পরিচিত জিকো অবশ্য নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই পদের জন্য। অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে সাবেক মিডফিল্ডার বলেন, আমার এখনো কোনো সমর্থন নেই। কিন্তু এটা শুরু হলে আমি ফিফার (সভাপতি পদে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। এটা এখনো শুধুই পরিকল্পনা কিন্তু কে জানে?"
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে নিজেকে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করেন জিকো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখতে বার্লিনে গেছেন জাপান, তুরস্ক, রাশিয়া ও গ্রিসের সাবেক এই কোচ। সেখানে বসেই তিনি জানান, নব্বইয়ের দশকে তার ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।
সদ্য শেষ হওয়া ফিফার সভাপতি নির্বাচনে অবশ্য ম্যারাডোনা বা জিকোর কেউই প্রার্থী ছিলেন না। গত সপ্তাহে হওয়া নির্বাচনে পঞ্চম মেয়াদের জন্য ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হন ব্ল্যাটার। নির্বাচনে একমাত্র খেলোয়াড় প্রার্থী ছিলেন পর্তুগালের সাবেক অধিনায়ক লুইস ফিগো। মূল নির্বাচনের আগেই অবশ্য নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। গত মঙ্গলবার ফিফার বর্তমান সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।