ব্ল্যাটার সভাপতি চেয়ারে বসার পরই দৃষ্টি দেন ফুটবলে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর দিকে। তিনি আসার পরই ফিফায় বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়ে যায়। অনুদান, গোল প্রজেক্ট, উন্নতমানের ফুটবল দেওয়া ছাড়াও একাডেমি গড়ার পিছনে বড় অঙ্কের অনুদান দেন। যতবার ঢাকা ঘুরে গেছেন বলে গেছেন বাংলাদেশে ফুটবল উন্নয়নে ফিফার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এশিয়াকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন তার প্রমাণ বিশ্বকাপে এশিয়ার চারটি দেশকে খেলার অনমুতি দিয়ে। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করে। কোরিয়া সেবার সেমিতেও খেলেছিল। তাই ফিফার নির্বাচনে ব্ল্যাটারের প্রতি এশিয়ার সমর্থন থাকত, এবারও ছিল, কিন্তু সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের পর ব্ল্যাটারহীন ফিফাতে বাংলাদেশ আগের মতো সহযোগিতা পাবে কি?
এ ব্যাপারে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ফিফা কারো মুখ দেখে সহযোগিতা করেনি। বাংলাদেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা তাদের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে। সুতরাং ব্ল্যাটার না থাকলেও ভয়ের কিছু নেই। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেছেন, যিনি সভাপতি হোক না এখানে সমস্যার কিছু দেখছি না। ফিফাতো আমাদের কাজ দেখে সহযোগিতা করবে। হ্যাঁ প্রশ্নটা এখানেই। কারণ ফিফাতে এখন দুর্নীতির তদন্ত চলছে সেখানে খতিয়ে দেখা হবে যাদের সহযোগিতা করা হয়েছে সেই অর্থ সঠিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। তাই যদি হয় তাহলে তদন্তের তালিকায় বাফুফের নাম থাকতে পারে। কারণ ফিফাতো বাংলাদেশকে অনুদান কম দেয়নি। ফিফার অনুদানে অডিটও করবে তদন্ত কমিটি। এখানে যদি কোনো অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায় তা হলে শুধু ফেডারেশন সভাপতি নয় দেশটির বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে শঙ্কিত অনুদানপ্রাপ্ত দেশগুলো।