যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে। বেশ আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার নবজ্যেত সিঁধু। এই সিঁধুই কথায় কথায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের সমালোচনা করতেন। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এই সিঁধুই বলেছিলেন, আইসিসি কাজটা ভালো করেনি। বাংলাদেশের মতো দুর্বল দলকে টেস্ট খেলার স্বীকৃতি দিয়ে টেস্টের সৌন্দর্য নষ্ট করল। তিনি কেনিয়ার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়ে সমালোচনা করা সিঁধুর যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। সেই সিঁধুই এখন বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভারতীয় মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন, এমন পরিণতির জন্য ক্রিকেটাররা দায়ী। বেশ ক'জন প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার বাংলাদেশকে গুরুত্বই দেয়নি। তারা ভেবেছিল দুর্বল দল পাঠালেও বাংলাদেশকে সহজে হারানো যাবে। অথচ বাংলাদেশ যে আগের অবস্থা নেই বিশ্বকাপে প্রমাণ করে গেছে।
একটা দলের খারাপ সময় যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচে ভারত যেভাবে হারল তা সত্যিই লজ্জাকর। ধোনি, কোহলিদের বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা মনে হয় বাংলাদেশকে কোনো দলই মনে করেনি। মাশরাফি, সাকিবদের এতটা তুচ্ছ চোখে দেখা হয়েছে যাতে করে আমি কেন, ভারতীয় অনেক ক্রিকেটারই ভেবেছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরটা এবার সুখকর হবে না। হয়েছেও তাই, এ জন্য শুধু ধোনি নয় প্রতিটি ক্রিকেটারের কাছে জবাব চাওয়া উচিত। কেননা ম্যাচ হারুক তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোনো ক্ষেত্রে দাঁড়াতে পারবে না। তা কি মেনে নেওয়া যায়? এর ভিতরে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তাও খুঁজে বের করতে হবে। তবে বাংলাদেশের প্রশংসা না করলে নয়। তারা এখন ক্যারিয়ারে সেরা সময় পার করছে। কি ব্যাটিং, কি বোলিং বা ফিল্ডিং প্রতিটি ক্ষেত্রে অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে। বিশেষ করে প্রথমবার ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে এসে বাচ্চা ছেলে মুস্তাফিজ যে বোলিং প্রদর্শন করেছে তাতে আমার আফসোসটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 'আহ্ এ ধরনের বোলার যদি ভারতে থাকতো' সত্যি বলতে কি ক্রিকেট এগারজনের খেলা হলেও আমি বলব এক মুস্তাফিজই ভারতকে শেষ করে দিয়েছে। ধোনিদের এখন তাকে স্যালুট দেওয়া উচিত।