কোনো টেনশন নেই। সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। গতকাল মিরপুরে দর্শকরা ছিলেন একদমই চাপমুক্ত। ভাবছেন 'চাপ' শব্দটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্য। মোটেই না। দল খারাপ অবস্থায় থাকলে খেলোয়াড়দের চেয়েও হাজারগুণ বেশি চাপে থাকেন তাদের ভক্ত। আর দল যখন ভালো অবস্থায় থাকে তখনো সবচেয়ে বেশি প্রশান্তিতে থাকেন দর্শকরাই। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচটি ছিল শুধুই 'পাওয়ার' ম্যাচ। হারলে সিরিজ ২-১, জিতলে বাংলাওয়াশ! আর সে কারণেই বাংলাদেশের দর্শকরা গতকাল ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। তাই উচ্ছ্বাসও ছিল আগের দুই ম্যাচের চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় প্রতি বলেই গর্জে উঠেছিল স্টেডিয়াম। ফল থ্রুর পূর্ব পর্যন্ত দর্শকরা নির্দিষ্ট বোলারের নাম ধরে স্লোগান দিত। ভালো বোলিং হলে গর্জন, ভালো ফিল্ডিং হলে গর্জন, আউট হলে গর্জন - বাংলাদেশের ফিল্ডারদের প্রতিটি প্রচেষ্টাকেই চিৎকার করে সাধুবাদ জানিয়েছেন দর্শকরা। বাংলাদেশের এমনিতেই অনেক বেশি আবেগী, তবে কালকের ম্যাচে শেরেবাংলায় দেখা গেছে ভিন্ন এক চিত্র। তবে গর্জনটা সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে যখন বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ম্যাচের মতো গতকালও শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল কাণায় কাণায় পূর্ণ। দুপুরের অনেক আগে থেকেই দর্শকরা স্টেডিয়ামের গেটে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। গতকাল স্টেডিয়ামের চারপাশ ছিল নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। বাড়তি নিরাপত্তার কারণে দর্শকদেরও কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল।