মান্যবর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র দ্বিতীয় পর্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রথম পর্বে সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করায় টপ ফেবারিট দল হয়েও শেখ রাসেলকে মূল্যবান ১০ পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছে। তা ছাড়া নির্ভরযোগ্য তারকাদের ইনজুরি দলকে ভুগিয়েছে। বিশেষ করে জাহিদ ও হেমন্ত নিয়মিত খেলতে না পারায় দলের ওপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় পর্বে নতুন রূপে মাঠে নেমেছে দেশের সবচেয়ে আলোচিত দল শেখ রাসেল। দ্রাগান দুগানোভিচকে বদলে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে মারুফুল হক মারুফের হাতে। ২০১২-১৩ মৌসুমে শেখ রাসেল লিগসহ তিনটি ট্রফি জিতেছিল মারুফের প্রশিক্ষণে। যোগ্য প্রশিক্ষক পেয়ে খেলোয়াড়রাও উজ্জীবিত। এমিলি, মিঠুনদের প্রতিজ্ঞা সমর্থকদের লিগ শিরোপা উপহার দেবে। দ্বিতীয় পর্বে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মোহামেডানের বিপক্ষে জয় পেয়ে পুরো ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। শেখ রাসেলের খেলার ভিতর ছন্দ ও গতি দুটোই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
আজ দ্বিতীয় পর্বে শেখ রাসেলের তৃতীয় ম্যাচ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল সোয়া ৪টায় ম্যাচটি শুরু হবে। প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামবে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্র। শক্তির বিচারে মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে শেখ রাসেল অনেক এগিয়ে। বড় ব্যবধানে জেতাটা প্রত্যাশিত ফলাফলই বলা যায়। কিন্তু এটা স্মরণ রাখতে হবে, প্রথম পর্বে দুই ম্যাচ জেতার পর শেখ রাসেল হেরে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধার কাছে। এই ফলাফলে ক্রীড়ামোদীরা অবাক হয়ে যান। ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করার পরও দুর্বল মুক্তিযোদ্ধার কাছে হারটা সমর্থকরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। অবশ্য প্রথম পর্বজুড়ে মুক্তিযোদ্ধার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন বাইরে থাকলেও মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে জাতীয় দলে ফিরে এসেছেন এনামুল। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধা এলোমেলো। তিন ম্যাচে দুটোতে ড্র একটিতে হার মেনেছে। দলের ভিতর কোনো সমন্বয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
দ্বিতীয় পর্বে শেখ রাসেল যেভাবে জ্বলে উঠছে তাতে আজ মুক্তিযোদ্ধার পাত্তা পাওয়ারই কথা নয়। হেমন্তরা ছন্দে ফেরার পাশাপাশি নতুনভাবে যোগ দেওয়া ক্যামেরুনের ইকাঙ্গা যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করছেন- এককথায় অসাধারণ। এমন উজ্জীবিত রাসেলের সামনে মুক্তিযোদ্ধার দাঁড়ানোর কথা নয়। তারপরও কোচ মারুফ বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি ম্যাচ জেতা। এখানে কাউকে তুচ্ছ করে দেখার উপায় নেই। ফুটবলে কখন যে কোন দল জ্বলে ওঠে বলা মুশকিল। মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা যোগ্য প্রতিপক্ষ ভেবেই মাঠে লড়ব। সত্যি বলতে কি, দ্বিতীয় পর্বে মিঠুনরা কতটা যে সতর্ক তা দুই ম্যাচেই প্রমাণ মিলেছে। লিগ শিরোপা পেতে তারা মরিয়া। কোনো ম্যাচেই যেন অঘটন না ঘটে সে লক্ষ্য নিয়েই প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করবে তারা।