সেরেনা উইলিয়ামস ছাড়া মারিয়া শারাপোভাকে কোনো টেনিস তারকাই টানা ১৭টি ম্যাচে পরাজিত করতে পারেননি। উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ের জন্য এটা বড় কোনো রেকর্ড নয়, তবে ভবিষ্যতে যখন কোনো লেখক শারাপোভার জীবনী লেখবেন তাকে অবশ্যই 'শারাপোভার সেরেনা দুঃখ' টাইপের একটি অধ্যায় লিখতে হবে। সেরেনা উইলিয়ামসের অবশ্য এর চেয়েও অনেক বিষয় রয়েছে উল্লেখ করার মতো। এ যেমন আজই রেকর্ড বুকে আরও এক ধাপ ওঠে যেতে পারেন তিনি। উইম্বলডনের ফাইনালে তিনি মুখোমুখি হচ্ছেন স্পেনের আনকোরা তরুণী গারবিন মুগুরুজার। জিতলেই ২১ নম্বর গ্র্যান্ডস্লাম ট্রফি শোকেসে তুলবেন সেরেনা। স্টেফিগ্রাফের (২২টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী) চেয়ে এক ধাপ আর মার্গারেট কোর্টের (২৪টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী) চেয়ে মাত্র তিন ধাপ পেছনে থাকবেন তিনি। সর্বকালের সেরা হওয়ার জন্য অবশ্য খুব বেশি সময় নেই ৩৩ বছর বয়সী এ মার্কিনির হাতে।
মুগুরুজা উঠেপড়ে লেগেছেন সেরেনাকে পরাজিত করার জন্য। এমনকি ম্যাচের দিন তিনি বাবা-মাকে পর্যন্ত গ্যালারিতে আসতে দেননি মনোযোগ ছুটে যাবে বলে! বার্সেলোনায় থেকে টিভিতেই মেয়ের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল দেখতে হবে মুগুরুজার বাবা-মাকে। মুগুরুজার এই অতি প্রস্তুতি সেরেনাকে বিন্দুমাত্র চিন্তিত করছে না। তিনি বরং আপন আনন্দে আরও একটি গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। সেরেনা বলেন, 'নিজের ওপর কোনোরকম চাপ রাখতে চাই না। আমার মনটাকে চিন্তামুক্ত রাখতে চাই সবসময়ই।' আর সেরেনা উইলিয়ামস জানেন, সর্বকালের সেরাদের তালিকায় থাকার জন্য তার আর কোনো গ্র্যান্ডস্লাম ট্রফির প্রয়োজন নেই। স্টেফিগ্রাফ আর মার্গারেট কোর্টরা বর্তমানে খেললেও সেরেনার শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতেন হয়তোবা।
একে একে ২৫ নম্বর গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে সেরেনা উইলিয়ামস। আগের ২৪টি ফাইনালের ২০টিতেই জিতেছেন। এমন রেকর্ড নিয়ে ফাইনাল খেলতে নামার আগে সেরেনাকেই ফেবারিট ভাবতেই হবে। তবে ২১ বছরের স্প্যানিশ তরুণী মুগুরুজা অঘটন ঘটাতেও তো পারেন। ফাইনালের পথে তিনি হারিয়েছেন জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কারবার, ড্যানিশ তরুণী ক্যারোলিন উজনিয়াকি এবং পোল্যান্ডের র্যাডওয়ানস্কার মতো তারকাকে। সেরেনা কি এ স্প্যানিশ তরুণীর পরবর্তী শিকার হতে যাচ্ছেন! নাকি সেরেনার রেকর্ডবুকে নাম লেখানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষার সামনে উড়ে যাবেন এ স্প্যানিশ তরুণীও!
সেরেনার যত গ্র্যান্ডস্লাম
অস্ট্রেলিয়া ওপেন (৬টি) : ২০০৩, ২০০৫, ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১৫
ফ্রেঞ্চ ওপেন (৩টি) : ২০০২, ২০১৩, ২০১৫
উইম্বলডন (৫টি) : ২০০২, ২০০৩, ২০০৯, ২০১০, ২০১২
ইউএস ওপেন (৬টি) : ১৯৯৯, ২০০২, ২০০৮, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪