অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকের রাজা উসাইন বোল্ট। গত অর্ধ যুগে তার সামনে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। সেই বেইজিং অলিম্পিক থেকে যতবার যেখানে দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার আলো পড়েছে তারই ওপর। তারপরও মার্কিন অ্যাথলেট জাস্টিন গ্যাটলিন প্রায়ই বলে বসেন, শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ পেলে বোল্টকেও পেছনে ফেলার সামর্থ্য তার আছে। এর প্রমাণ গত কয়েক বছরে দিয়েছেনও গ্যাটলিন। ২০১৩ সাল থেকে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে মোট ২৭টি লড়াইয়ে অংশ নিয়ে অপরাজিত এ মার্কিন অ্যাথলেট। অন্যদিকে বোল্ট কিছুটা ইনজুরি আর কিছুটা খামখেয়ালিপনায় ট্র্যাক থেকে প্রায় অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিলেন। তারপরও ৬টি অলিম্পিক সোনার অধিকারীকে এমনকি ২৮-এও অবহেলা করার কোনো উপায় নেই। গ্যাটলিন অবশ্য তার চেয়েও বুড়ো, ৩৩। মার্কিন অ্যাথলেটের জন্য সময়টা পড়ন্ত বেলার। এসব সম্ভাবনা নিয়েই আজ থেকে ট্র্যাকের লড়াইয়ে নামছেন উসাইন বোল্ট-জাস্টিন গ্যাটলিন।
বেইজিংয়ের 'বার্ড নেস্ট' আরও একবার বিশ্ব আসরের জন্য প্রস্তুত। অ্যাথলেটিকসের সব রথী-মহারথী তাকিয়ে আছেন বেইজিংয়ের দিকে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথম দিনেই ম্যারাথন ও ১০ হাজার মিটারের লড়াই শেষ হবে। স্প্রিন্ট আজ থেকে শুরু হলেও ফাইনাল হবে আগামীকাল। এবারের বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের প্রধান আকর্ষণ হতে যাচ্ছে বোল্ট-গ্যাটলিন সম্মুখ সমর। ২০০৪ সালের অ্যাথেন্স অলিম্পিকে মার্কিন অ্যাথলেট গ্যাটলিন ছিলেন নায়ক। এরপর দুই-দুবার ডোপ পাপ তাকে ট্র্যাক থেকে ছিটকে দিয়েছিল। তবে সব বাধা-বিপত্তি দূর করে তিনি সেই পুরনো জৌলুস নিয়ে ফিরেছেন ট্র্যাকে। একের পর এক সফলতা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে সেই পুরনো গৌরব। তারপরও উসাইন বোল্ট এক মহানক্ষত্রের নাম। গ্যাটলিনের মতো আলোকদীপ্তরাও যাকে ম্লান করতে পারে না। তবে বেইজিংয়ে দুজনের সম্মুখ সমর আপাত একটা সমাধান সমালোচকদের দিতে পারে। একদিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ৯.৫৮ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী উসাইন বোল্ট, অন্যদিকে গত মে মাসে কাতারের দোহায় ৯.৭৪ সেকেন্ড টাইমিং করে বছরের সেরা টাইমিং গ্যাটলিনের। দুই মহারথীর সম্মুখ সমর বেশ উপভোগ্যই হতে যাচ্ছে বেইজিংয়ে। এ নিয়ে বোল্ট বলেছেন, আমি কোনো বিষয়েই ভীত নই। আর ৩৩-এর গ্যাটলিন বলেছেন, আমি সাতাশের যুবক মনে করছি নিজেকে। ট্র্যাকেই অবশ্য নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে এ দুই গ্রেট অ্যাথলেটকে।