ওয়ানডে ক্রিকেটে পরাশক্তি না হলেও শক্তিশালী দল বাংলাদেশ। এখন বলে কয়ে হারাচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোকে। ওয়ানডে ক্রিকেটে যতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, বিপরীতে ততটাই দুর্বল টেস্ট ক্রিকেটে। প্রতি বছর ২০-২৫টি ওয়ানডে খেললেও বাংলাদেশ টেস্ট খেলে হাতে গোনা কয়েকটি। ক্রিকেট উন্নয়নে যেখানে অধিক সংখ্যক টেস্ট খেলা দরকার, তখন সিরিজ থেকে টেস্ট সংখ্যা কমিয়ে ফেলছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ৩ টেস্ট, ৫ ওয়ানডে ও ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলতে আসার কথা জিম্বাবুয়ের। জিম্বাবুয়ে সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ সফরে আসছে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কাটছাঁট হচ্ছে আইটিনারী। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলার। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে না বলে একটি টেস্ট কমিয়ে ফেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জিম্বাবুয়েকে। নতুন মৌসুমের ক্যালেন্ডার ঘোষণার সময় কাল বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয় তাই বলেন, 'তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-২০ খেলার পর একজন ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের ফিটনেস সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই জানি। আমাদের ক্রিকেটারদের ফিজিক্যাল কন্ডিশন এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি। বিশেষ করে আমাদের পেসারদের অবস্থা এখনো সেই পর্যায়ে উঠেনি। তাদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে বলেই আমরা একটি টেস্ট কম খেলতে চাইছি।'
ক্রিকেটারদের ফিজিক্যাল কন্ডিশনের বিবেচনায় একটি টেস্ট কম খেলার পরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু ভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে চাইছেন না জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বেশি টেস্ট খেলতে। যদি এটা হয়, তাহলে বাংলাদেশের টেস্ট খেলার ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল নয়।